Wednesday , March 22 2023
Breaking News
Home / Countrywide / বাদীকে বিয়ে করার শর্তে জামিন মিললো পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্যের

বাদীকে বিয়ে করার শর্তে জামিন মিললো পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্যের

পাবনা-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নারী ঘটিত অভিযুক্ত হয়ে বর্তমানে আসামি হয়েছেন। জানা গেছে, সংসদ সদস্য একজন নারীকে বিয়ের পর কিছুদিন একসাথে থাকার পর এক সময় এড়িয়ে চলেন এবং শেষ পর্যন্ত ডিভোর্স দেন। এই ঘটনার পর ঐ নারীর সাথে ফের এক সময় মেলামেশা শুরু করেন। এরপর ঐ নারী অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন। ঐ সংসদ সদস্য হলেন খন্দকার আজিজুল হক আরজু ওরফে ফারু. এদিকে সংসদ সদস্যকে ১০ লাখ টাকার মুচলেকায় জামিন দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (১৩ মার্চ) ঢাকার নারী সংশ্লিষ্ট আইনে ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহার আপোষহীন শর্তে জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি পিবিআইয়ের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ঢাকার ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহার তার বিরুদ্ধে গ্রে”প্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে ২৩ ফেব্রুয়ারি গ্রেফ”তারি পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন পুলিশের কাছে দাখিলের দিন ধার্য করা হয়।

নাম ও পরিচয় পরিবর্তন করে তালাকপ্রাপ্তা নারীকে প্রতা”রণা ও বিয়ে করার অভিযোগে এ মামলা করা হয়। গত বছরের ২২ এপ্রিল শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মাধ্যমে ওই নারী মা”মলাটি করেন। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার নারী সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহারের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কা”রাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদী তার প্রথম স্বামীর সঙ্গে ২০০০ সালের ডিসেম্বরে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর একটি ওষুধ কোম্পানিতে কাজ করার সময় তিনি বাড়িতে প্রায় একাই থাকতেন। এরপর তার আত্মীয়রা তাকে আবার বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়।

২০০১ সালের শেষের দিকে এক পর্যায়ে বাদীর মামার মাধ্যমে আ”সামি (খন্দকার আজিজুল হক আরজু ওরফে ফারুক) এর সাথে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে আসামী বাদীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে তাকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে এবং শেষ পর্যন্ত সফল হয়। অভিযুক্ত তাকে জানায় যে তার প্রথম স্ত্রী প্রয়াত হয়েছেন। বাদীকে প্রথম পক্ষের সন্তানদের জন্য অরক্ষিত করে তোলে।

এতে আরও বলা হয়, বাদী বিবাদীর প্রেমে পড়ে এবং সামাজিক নির্ভরতা ও একাকীত্বের অবসান ঘটিয়ে নতুন সংসার শুরু করে বিয়ের প্রস্তাব গ্রহণ করেন। ১০ ডিসেম্বর ২০০৩ তারিখে অভিযুক্তের সাথে তার বিয়ে হয়। ১৬ জানুয়ারী ২০০৮ সালে তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সন্তান গর্ভধারণের পর অভিযুক্তরা বিভিন্ন কৌশলে সন্তানকে পৃথিবীর আলো না দেখানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বাদী তা করতে পারেননি।

সন্তানের জন্মের পর অভিযুক্তের আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়, এবং এক সময়ে তিনি বাড়িতে আসা-যাওয়া কমিয়ে দেন। বাদীর নামে তাকে ফ্ল্যাট কেনার জন্য তার বাবা ১০ লাখ টাকা, সঞ্চয়ের আট লাখ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে টাকা দিলেও কোনো ফ্ল্যাট কিনে দেননি এবং কোনো টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি বাদীকে। তাছাড়া তিনি আরো বেশ কিছু অভিযোগ তোলেন যার বেশিরভাগ মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন। তবে এরপর যাতে ঐ নারী কোনো ধরনের অবহেলার শিকার না হন, সেই পদক্ষেপ নেওয়ারও দাবি করেন।

About bisso Jit

Check Also

এবার সরকার থেকে ঠিক করে দেয়া হলো কিভাবে সারা দেশে পড়তে হবে তারাবি নামাজ

আবারো বছর ঘুরে আসলো পবিত্র রমজান মাস।আর এই রমজান মাস মানেই আত্মশুদ্ধির মাস। এই রমজান …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *