Wednesday , March 22 2023
Breaking News
Home / Countrywide / প্রধানমন্ত্রীর খাবারের মেন্যু তালিকা দেখলাম, যা আমার কাছে খুব গরীব গরীব মেন্যু মনে হলো: সুলতান মির্জা

প্রধানমন্ত্রীর খাবারের মেন্যু তালিকা দেখলাম, যা আমার কাছে খুব গরীব গরীব মেন্যু মনে হলো: সুলতান মির্জা

কয়েকদিন আগে কিশোরগঞ্জে একটি বিশেষ সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাড়িতে দাওয়াত পান। সেই দাওয়াতে যেসব খাবারের মেনু করা হয়েছিল সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়। এই খাবারের তালিকায় ছিল না কোনো রাজকীয় খাবার, ছিল একদম সাধারন খাবার। তার এই খাবরের মেন্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন লেখক ও সমালোচক সুলতান মির্জা। তার পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-

কিশোরগঞ্জ সফরে প্রধানমন্ত্রীর খাবারের মেন্যু তালিকা দেখলাম, যা আমার কাছেই খুব গরীব গরীব মেন্যু মনে হলো বিশেষ করে কিশোরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী যেখানে গিয়েছিলেন সেই এলাকা অনুযায়ী।

হা খাবার গুলো ব্যয়বহুল বড়লোকি খাবার বলা যেতো যদি প্রধানমন্ত্রী কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে বসে রুশ ক্যাবিয়ার খেতো, ফরাসী কোম্পানীর অ্যাকোয়া ডি ক্রিস্টালো ট্রিবিউটো আ মদিগ্লিয়ানি মিনারেল ওয়াটার খেতো।

কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে প্রধানমন্ত্রীর মেন্যু তালিকায় যেসব খাবার ছিলো, তার মধ্যেও এমন একটা খাবার ছিলো না যা ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জে গেছে কিংবা বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা খরচা করে আমদানী করতে হয়েছে। তথ্য নেন৷ মিলিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী সম্মন্ধে আমার যা ধারনা, উনি কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে প্রাকৃতিক ভাবে উঠানো টিউবওয়েলের পানি পান করেছেন।

ফে”সবুকে অনেক আহাজারী চলছে একদল মিসকিন ফকিন্নি এইসব আহাজারী করছে। যাদের ধারনাই নাই, প্রধানমন্ত্রীর খাবার তালিকায় থাকা মাছ গুলোর ক্রয় মুল্য ঢাকায় যদি হয় ১০০০ টাকা কেজি, কিশোরগঞ্জ শহরে তার মুল্য ৫০০ টাকা কেজি, মিঠামইন, ইটনাতে যা কোন ভাবেই পাইকারী দরে ২০০ টাকা কেজির বেশি বিক্রি হয় না। রাতাবোরো চাউল ঢাকা শহরে দুস্প্রাপ্য হলেও মিঠামইন, ইটনায় এমন কোন গৃহস্থপরিবার নাই যারা রাতাবোরো ধান চাষ করে না, যাদের ঘরে পর্যাপ্ত রাতাবোরো চাউল নাই।

মোটকথা, সেটা চাউল রুই কালবাউশ আইড় বোয়াল পাবদা যেই মাছই হোক না কেন। সেজন্যেই বললাম প্রধানমন্ত্রী কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে একদম গরিবী এবং সস্তা মেন্যু দিয়েই আপ্যায়িত হয়েছেন। মোটকথা আমার তথ্যের ভেজাল প্রমান করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন ইটনাতে গিয়ে মাছ কিনে তার পরে প্রমান দিতে হবে, এর আগে নো ওয়ে।

প্রশ্ন হচ্ছে এতে করে ফেটে যাচ্ছে কাদের? উত্তর হচ্ছে একদল ফকিন্নি মিসকিনের যারা নামাজ পড়ে দোয়া করেও ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ কে শ্রীলংকা, পাকিন্তান বানাতে। দেখুন, আমার বাড়ি প্রধানমন্ত্রী আসলে, আমি উনাকে আপ্যায়ন করবো কম করে হলেও ৭০ প্রকার মাছের মেন্যু দিয়ে, এর মধ্যে আমার নিজস্ব উৎসের মাছ শাক সবজি থাকবে ৫০ প্রকারের উপরে।

কথা হচ্ছে দুর্ভিক্ষের সংজ্ঞা কি? ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস কে দুর্ভিক্ষ বলে না। দ্রব্য পন্যের অতিমুল্য উচ্চ মুল্য কে দুর্ভিক্ষের ছায়া বলে না. দুর্ভিক্ষ হচ্ছে, উৎপাদন না থাকা, টাকা খরচ করেও পন্য না পাওয়া। বাংলাদেশে আমার জানামতে দুর্ভিক্ষ দুরের কথা দুর্ভিক্ষের ছায়াও নাই।

হা একদম ঠিক আছে নিত্যপন্যের বাজার অস্থিতিশীল, বিয়ের দিনের বাহিরে গরুর মাংশ খাওয়া ইনপসিবল ইত্যাদি। এইসবেরও উত্তর আছে। যা এই লেখায় দরকার নেই। বলছি নজর বদলাও ফকিন্নি মিসকিন। নিজের স্বক্ষমতা কিভাবে বাড়বে সেই চিন্তা করো।

প্রধানমন্ত্রী তো অনেক উচু ব্যাক্তি, এর নিচে এমন লক্ষ লক্ষ ব্যাক্তি আছে, যাদের এক বেলা খাওনোর জন্য ৫০-৬০ আইটেম খাবার খরচ করার লোকের অভাব এই দেশে নাই। তোমার আয়ের সাথে ব্যয়ের অসংগতি, এটা শুধু তোমার একার সমস্যা না। প্রায় সকলের সমস্যা। তার মানে দেশে দুর্ভিক্ষ চলছে কথাটা সত্য না। বাজারে পন্য আছে পর্যাপ্ত, তোমার পকেটে টাকা নাই, ফেসবুক ছেড়ে গতর খাটাও। ফকিন্নি মিসকিনদের আর কিছু বলার নেই।

প্রসংগত, রাষ্ট্রপতির এই ধরনের আয়োজন নিয়ে অনেকে তার প্রশংসাও করেছেন। কারন একজন প্রধানমন্ত্রীকে এই ধরনের খাবার খাইয়েছেন একজন রাষ্ট্রপতি, যেটা একটি ভিন্নতার পরিচয় বহন করে। এমন দাওয়াত এবং খাবার মেন্যুতে প্রধানমন্ত্রী নিজেও হয়তো খুব খুশি হয়েছিলেন, বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।

About bisso Jit

Check Also

পারিবারিক পিকনিক চলাকালে তিন পুলিশের অপ্রত্যশিত কান্ড তিন নারীর সাথে, জানা গেল শেষ পরিণতি

পারিবারিক পিকনিক অনুষ্ঠানে উচ্চ স্বরে গান  বাজিয়ে আনন্দ করতে থাকে স্থানীয় ছেলেপেলেরা।  এমন অবস্থায় কিছু …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *