মানিকগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার একটি মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে বিভিণ্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে সর্বনাশ করার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার দপ্তরীর বিরুদ্ধে। জানা গেছে ঐ ছাত্রী ঐ মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। মাদরাসার অভিযুক্ত দপ্তরির নাম আব্দুল জলিল। এই ছাত্রী ছাড়াও আরো দুই ছাত্রীকে একই কাজ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৩ মার্চ) এ ঘটনায় জলিলকে আটক করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত জলিলের বাড়ি শরীয়তপুরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চার দিন আগে মাদ্রাসায় এক ছাত্রীকে খারাপ কাজ করেন আব্দুল জলিল। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ছাত্রীকে ভয়-ভীতি দেখান তিনি। তবে সোমবার দুপুরে বিষয়টি অভিভাবকদের জানায় ওই ছাত্রী। মাদ্রাসায় গিয়ে বিস্তারিত জানার পর মেয়েটির বাবা পুলিশকে খবর দেন। পরে থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।
মেয়েটির বাবা জানান, গত তিন মাসে ওই মাদ্রাসার আরও দুই ছাত্রী ওই দপ্তরীর হাতে খারাপ কাজের শিকার হয়েছে। তাদের অভিভাবকরা থানায় অভিযোগ জানাবেন।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার জানান, মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ সময় আরও দুই শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক থানায় আসেন। দফতরীর বিরুদ্ধে একাধিকবার শ্লী”লতাহানির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
এই ঘটনার পর ঐ এলাকার বাসিন্দাদের ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে এই ঘটনার বিষয়ে ঐ দপ্তরী অস্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে। এদিকে অপর দুই ছাত্রীর অভিভাবকেরাও অভিযোগ তুলে ধরে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।