সম্প্রতি আবারো আলোচনার খোরাক হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।তাকে নিয়ে দেখা দিয়েছে বেশ সংশয় আর এই সংশয় দেশের পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন একজন সাজা প্রাপ্ত আসামি।আর এই কারণে তিনি পরবর্তী নির্বাচন করতে পারবেন না বলেই রায় দিয়েছেন সরকার পক্ষের অনেকেই।
এ দিকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,যে দল বেশি লাফায় সে দলের দুই নেতাই হচ্ছে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা না পারবে ইলেকশন করতে, না পারবে ক্ষমতায় আসতে।
তিনি বলেন, বিএনপি নিজেদের গঠনতন্ত্র ভাঙছে। কারণ, তাদের সংবিধানে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা দলীয় নেতা হতে পারেন না। এখন সেই আসামিকে দলের নেতা করা হয়েছে। এখন এই দল থেকে কি আশা করা যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচনেও জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে সেজন্য প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা প্রমাণ করেছি, দলীয় সরকারের অধীনেও নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন তার প্রমাণ।
সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে গণভবনে সাম্প্রতিক কাতার সফরের সারসংক্ষেপে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নতুন রাষ্ট্রপতিকে (মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন) উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি একজন পোড়া মানুষ এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা। পঁচাত্তরের পর জিয়াউর রহমান তাকে গ্রেফতার করে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিসেও কাজ করেছেন। বিএনপির আমলে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলাম। তাই একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার সেই দায়িত্ববোধ, রাজনৈতিক সচেতনতা, দেশপ্রেম ও ব্যক্তিত্ব আছে বলে আমি মনে করি। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে তার এই প্রচেষ্টা সবসময় থাকবে।
তিনি বলেন, দেশকে শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের একার নয়, সবার। সেই দায়িত্ব সবাইকে পালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদেরও দায়িত্ব রয়েছে। সত্যের জয় হয়। কেউ ঢাকতে পারবে না। আমি এটা বিশ্বাস করি.
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ৩০০ আসনের মধ্যে ৩০ টি আসনে জয়লাভ করে। আর ২৭০টি পেলাম আমরা মহাজোট। ২০০৮ সালের নির্বাচন যাকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বলা হয়, যখন তারা এই দুর্যোগে, এখন আমরা অন্তত জনগণের আস্থা অর্জনে কাজ করেছি।
তিনি বলেন, বগুড়ায় খবর পেয়েছি, সেখানকার মানুষও আমাদের সরকারের ওপর আস্থা তৈরি করেছে। আমার দল করে না, অন্য দলগুলো করে, তাদের মুখ থেকে কিন্তু আমি আজ এই তথ্য নিয়েছি। সাধারণ মানুষের গ্রামের মানুষের একটাই কথা, এই সরকার থাকুক। এটা সাধারণ মানুষের চাওয়া। দেখা যাক এরপর কি হয়। নির্বাচন জনগণের ইচ্ছা। জনগণ যদি হ্যাঁ ভোট দেয়, যদি না দেয় তবে তারা দেবে না। এটা নিয়ে কোন আফসোস নেই।
প্রসঙ্গত, গেল কয়েকদিন আগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় সরকার। কিন্তু সামনের নির্বাচন তিনি করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী। t