সাম্প্রতিক সময়ে আ.লীগের বর্ষীয়ান নেতা এবং সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এ্যাসিসট্যান্ট পার্সোনাল সেক্রেটারির মামলায় জামিনের জন্য শুনানী করছেন, এমন তথ্য প্রচারের পর ঐ আ.লীগ নেতা সমালোচনার মুখে পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে দলটির মধ্যে। এ বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন কথা বললেন আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) আসামি নুরুদ্দিন আহমেদ অপুর পক্ষে শুনানি করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. কামরুল ইসলাম বলেন, আমি অনেক পারিশ্রমিক পেয়েছি, একারণে আসামি অপুর পক্ষে শুনানি করেছি।
এর আগে মানি লন্ডারিং ও স”ন্ত্রা/সবিরোধী আইনের মামলায় জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম।
মামলা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এক জুনিয়রের আপন ভাইয়ের মামলার ব্রিফ করেছি। প্রচুর ফি পেয়েছি, এ জন্য আসামির পক্ষে কয়েক দিন শুনানি করেছি। গতকালও অনেক টাকা ফি পেয়েছি।
অনেকেই তার নীতি-নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন, রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে তিনি তারেক রহমানের এপিএস জামিনের পক্ষে দাঁড়াতে পারেন না।
এ প্রসঙ্গে সাবেক এই খাদ্যমন্ত্রী দাবি করেন, অপু তারেক রহমানের এপিএস ছিলেন তা তিনি জানতেন না। মামলার কোথাও তা লেখা হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষও শুনানিতে তা উল্লেখ করেনি।
এদিকে আজ (মঙ্গলবার) ১৪ মার্চ শুনানির জন্য আদালতে আসেননি আ.লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা। তবে তিনি ঠিক কী কারণে আসামি নুরুদ্দিন আহমেদ অপুর জামিন বিষয়ে আদালতে আসেননি সে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। তবে অনেকে ধারনা করেছেন তিনি আলোচনায় আসার পর হয়তো জামিনের শুনানিতে আসেননি।