পেম করে বিয়ে হয় লামিয়ার। বিয়ের পরে তাদের সম্পর্ক স্বজনদের মধ্যে অনেকেই মেনে নিতে না পারায় হরহামেসাই পরিবারের মধ্যে কোলহ লেগেই থাকতো। এভাবে অনেক দিন কেটে যায়, হটাৎ করেই নিখোজ হয় লামিয়া।
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার কলেজ ছাত্রী লামিয়া নিখোজের কয়েক মাস পর অর্থাৎ গত শনিবার (১২ মার্চ) রাতে তার বাড়ির সামনে একটি বেনামী চিরকুট পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরে সোমবার সকালে উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের মোজাহার মোল্লার বাড়ির পাশের জমি খুঁড়ে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।
নিখোঁজ কলেজছাত্রী লামিয়া (১৮) উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় সরকার বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
জানা গেছে, তরিকুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবকের সঙ্গে লামিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত বছরের ৩০ মে বিয়ের দাবিতে তরিকুলের বাড়িতে থাকেন লামিয়া। এরপর স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় তাদের বিয়ে হয়। তবে তরিকুলের বাবা-মা বিয়ে মেনে না নেওয়ায় লামিয়া তার বাবার বাড়িতে চলে যায়।
তবে তরিকুল লামিয়ার বাবার বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। গত বছরের ৬ নভেম্বর রাতে তরিকুল লামিয়াকে পরিবারের সদস্যদের দৃষ্টির বাইরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে নিখোঁজ ওই কলেজছাত্রী।
মেয়ের সন্ধান না পেয়ে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর নাজিরপুর থানায় অপহরণের মামলা করেন লামিয়ার মা রাজিয়া বেগম। তরিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে সাতজনকে আসামি করে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
ঘটনার ৪ মাস পর সোমবার রাতে লামিয়ার বাড়ির চাল ও বেড়ায় পাথর ছোড়া হয়। পরে পরিবারটি বেরিয়ে এসে সিঁড়িতে একটি কাগজ দেখতে পায়। কাগজে লেখা ছিল, ‘আপনার মেয়ের লাশ মোজাহার মোল্লার বাড়ির পশ্চিম পাশে বালির ক্ষেতে রাখা আছে। রাতেই লামিয়ার পরিবার বিষয়টি পুলিশকে জানায়। সোমবার সকালে বালুর ক্ষেত খুঁড়ে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।
নাজিরপুর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে লাশটি লামিয়ার। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে বিস্তারিত বলা যাবে। ওই রাতে কে বা কারা চিরকুট রেখে গিয়েছিলো তাদের সনাক্ত করতে পারলেই আসল অপরাধীদের সনাক্ত করা যাবে বলে ধরনা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর।