কোরআন শিক্ষা একটি সাধনার বিষয়, যেটা অনেক পরিশ্রমের মাধ্যমে আয়ত্বে আনতে হয়। অনেকের কোরআন মুখস্থ করতে দীর্ঘ দিন লেগে যায়। তবে এবার সম্পুর্ন কোরআন শরিফ মুখস্ত করে তাক লাগালেন ৮ বছর বয়সী আশরাফুল ইসলাম নামের এক শিশু। তার কোরআন শরীফ আয়ত্বে আনতে মাত্র সাড়ে চার মাস সময় লেগেছে।
সে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানাধীন গোপরেখী পশ্চিমপাড়া মিফতাহুল উলুম কওমি মাদরাসার ছাত্র। তার বাবা গোপেরেখি পশ্চিমপাড়া মহল্লার মোহাম্মদ বাবু প্রামানিক পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
বাদ এশা হাফেজ আশরাফুলকে মঙ্গলবার মাদ্রাসা মাঠে জমকালো সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এতে বেলকুচি, এনায়েতপুর, চৌহালী ও শাহজাদপুরের হাজার হাজার আলেম, উলামা ও ছাত্র উপস্থিত ছিলেন। পরে অতিথিরা হাফেজ আশরাফুল ইসলামকে বিশেষ দোয়া ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।
সংবর্ধনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসা ও মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম তালুকদার। প্রধান অতিথি ছিলেন খুকনী জামিয়া হুসাইনিয়া মদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদরাসা মুহতামি হাফেজ মাওলানা আব্দুল রাজ্জাক।
বিশেষ অতিথি সদরে মুহতামিম মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, বেলকুচি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম সোহেল, অত্র মাদরাসার মুহতামি মাওলানা মুহাম্মদ আশাদুল্লাহ ও মসজিদের খচিত মাওলানা আবু তালেব। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মাস্টার।
এ সময় বক্তারা বলেন, আশরাফুল ইসলাম অল্প দিনের মধ্যে পুরো কুরআন মুখস্ত করেছে। সে কোরআন মুখস্থ করার আগে সহীহ শুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করতে শেখে। তার এই মহতি অর্জনে আমরা খুশি। তার এই ধরনের অর্জনে গর্বিত তার বাবা-মা ও স্বজনেরা। এলাকাবাসি আশরাফুলের অর্জন নিয়ে প্রশংসা করেন। এদিকে অনেকে জানিয়েছেন, কোরআন শেখার বিষয়টি তাকে দেখে অনেকে গুরুত্ব দিবে। তারা তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।