গাজীপুরের পুবাইল এলাকায় পরিচয় গোপন রেখে এক নারীকে সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (Gazipur Metropolitan Police)। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে এবং বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
কী ঘটেছিল?
একজন প্রবাসী সাংবাদিকের সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অভিযোগকারীর পরিবার দাবি করেছে— অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজ পরিচয় গোপন রেখে ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং পরে ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে চাপে ফেলেন। এমনকি শারীরিক সম্পর্ক ও গর্ভাবস্থার পর প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে।
ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার প্রথমে সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে, মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য ও আইনগত প্রক্রিয়া
পুবাইল থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী একজন নারী প্রতারণা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় তদন্ত চলছে এবং অপরাধ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিক্রিয়া
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, কোনো ব্যক্তি যদি প্রতারণা বা পরিচয় গোপন করে সম্পর্ক স্থাপন করে, সেটি ফৌজদারি অপরাধের আওতায় পড়ে এবং নারী নির্যাতনের পর্যায়ে গণ্য হতে পারে। তবে এটিকে কোনো ধর্ম, জাতি বা গোষ্ঠীভিত্তিক ইস্যু হিসেবে দেখার সুযোগ নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
আইনজীবীরা মনে করছেন, এই ধরনের ঘটনায় মূলত ব্যক্তির দায় নির্ধারণই গুরুত্বপূর্ণ। অপরাধ ব্যক্তিকেন্দ্রিক হওয়া সত্ত্বেও একে ধর্মীয় বা গোষ্ঠীগত ইস্যু হিসেবে চিত্রায়িত করা সামাজিক সম্প্রীতিকে ব্যাহত করতে পারে। আইন অনুযায়ী অপরাধ প্রমাণ হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।