সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মেয়ের আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর লজ্জায়-অপমানে মায়ের আত্মহননের ঘটনায় আসাদুল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে তদন্তে একের পর এক বেরিয়ে আসে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এর আগেও নানা কেলেঙ্কারির রেকর্ড আছে ওই অভিযুক্ত তরুণের বিরুদ্ধে, এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। এমন মৃত্যুর ঘটনায় এবার তার বিচার চায় স্থানীয়রা।
গত ৯ মার্চ সকালে বরগুনার তালতলী উপজেলার লাউপাড়া এলাকায় এক নির্যাতিতার মা এসিড পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবেশী যুবক আসাদুল ইসলাম এক বছর ধরে তার স্কুল ছাত্রী মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছিল। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু বখাটে আসাদুল কৌশলে ভিডিও কলের মাধ্যমে মেয়েটির কিছু অশালীন ছবি তোলে। এরপর ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। আসাদুল পরিবারকেও হুমকি দেয়। সেই টাকা দিতে ব্যর্থ হলে ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত ‘লো’কল”জ্জায় আ”ত্ম’হ”ত্যা”’র পথ বেছে নেন মা।
এলাকাবাসী জানায়, একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ব্ল্যাকমেইল করা আসাদুলের অভ্যাসে পরিণত হয়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার তালতলী থানায় মামলা করেছে। আসামিদের স্বজনরা বলছেন, অপরাধ প্রমাণিত হলে তারাও আসাদুলের বিচার চান।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে কুয়াকাটা থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এ ঘটনায় বরগুনার তালতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপুর সঙ্গে কথা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর ওই যুবক দোষী হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।