ইসলামে ৪ বিয়ে করা জাহেজ রয়েছে তবে অন্যের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া করে তাকে নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়াতো জায়েজ নাই। তাও আবার মসজিদ কমিটির সভাপতির বউকে নিয়ে পালিয়েছেন ইমাম সাহেব। তবে এটা তার প্রথম কেলেংকারি নয় এর আগেও এই ইমাম নারিদের সাথে অসামাজিক কর্মকান্ড করতে গিয়ে এলাকাবাসির কাছে ধরা খেয়েছেন বলে সংবাদ সূত্র দ্বারা জানা যায়।
আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু (৬০) বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা গ্রামের বাসিন্দা। এলাকার সবাই তাকে বাচ্চু হুজুর নামেই চেনেন। তিনবার বিয়ে করেছেন। তৃতীয় স্ত্রীর কোনো সন্তান নেই, বাকি দুই স্ত্রীর মোট সাতটি ছেলে মেয়ে রয়েছে। তারপরও এই বাচ্চু অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে। ১১ তারিখ সন্ধ্যায় ওই নারীর ছেলে (২২) বাগমারা থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। পারিবারিক সম্মানের কথা ভেবে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি প্রকাশ করতে নারাজ হলেও মামলার কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় (২১) সন্ধ্যায় ওই নারী ও ছেলে সাংবাদিকদের জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের বাগিচাপাড়া এলাকার মসজিদের ইমাম ছিলেন বাচ্চু। কবি হিসেবেও কাজ করেছেন। মহিলার স্বামী পক্ষাঘাতগ্রস্ত। কবিরাজি চিকিৎসার জন্য নিয়মিত তাঁর বাড়িতে যেতেন। একই সঙ্গে তিনি ওই নারীকে নিয়মিত কুরআন শিক্ষা দিতেন। কিছুদিন পর তার ছেলেদের সন্দেহ হয় এবং তাকে বাড়িতে আসতে নিষেধ করে। তারপরও বাচ্চু বাড়ি ঘুরে বেড়ায়।
১১ তারিখ বাপের বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় ওই নারী। কিন্তু পরে আর বাড়ি ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানা যায়, বাচ্চু হুজুর তাকে তুলে নিয়ে গেছেন। হুজুর।
ওই নারীর বড় ছেলের কথায়, ‘বাচ্চু হুজুর নানাভাবে নিষেধ করলেও বাড়িতে ঘুরে বেড়াতেন। তিনি পানিপ্রদা ও তাবিজ বানাতে জানেন। আমার মাও তার তাবিজের খপ্পরে পড়ে পানি পড়ছে। এছাড়া বাবার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে মাকে প্রভাবিত করে নগদ ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
তিনি আরও বলেন, ‘ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা তাদের খুঁজে পেতে চাই. আমরা তার শাস্তি চাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাচ্চু হুজুরের কয়েকজন প্রতিবেশী বলেন, বাচ্চুর সঙ্গে নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা নতুন নয়, এর আগেও সে একাধিক নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটিয়েছে। তার প্রথম স্ত্রীর বাড়ি বাগমারার হামিরকুটসা গ্রামে। ওই পরিবারে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। আবার নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার রামসার কাজিপুর গ্রামে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়িতে দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
তারা আরও বলেন, “তিনি চট্টগ্রামে তাবলিগ জামাতে গিয়ে নারী কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে গিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য হন।” ওই স্ত্রীর কোনো সন্তান নেই, তবে তার সঙ্গে বাচ্চু হুজুরেরও যোগাযোগ আছে বলে শুনেছি। অপরদিকে দুই সন্তানের জননীর কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার কথা শুনছি বাগিচাপাড়া মসজিদের সাবেক সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমাদের মসজিদের ইমামতি করার সময় বাচ্চু হুজুর অন্য নারীদের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত হন। আমরা হব.” এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা হলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ তাকে ইমামতি থেকে সরিয়ে দেয় এবং এ ব্যাপারে ইমাম আব্দুর রাজ্জাক ওরফে বাচ্চু হুজুরের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে পরিবারের কেউ তার বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত নই। থানায় এ ধরনের অভিযোগ বা জিডি করা হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসি অনেকবার তাকে এসকল কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকর জন্য বলেছেন তবুও তাকে আটকানো যায়নি। এবার সে যে কাজ করেছেন তার জন্য দৃষ্টন্ত শাস্তি চায় এলাকাবাসি। বর্তমানে সে কোথয় রয়েছে সে বিষয়েও কোন তথ্য জানেন না আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চুর তিন স্ত্রীরা।