যোশে ম্যারিও গুইলোম্বা একজন স্বনামধন্য ব্যাক্তি যিনি অনেকটা হঠাৎ করে গ্রেপ্তার হয়েছেন। জানা গেছে, কানাডার ব্যস্ত নগরী টরন্টোতে সেখানকার স্থানীয় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা হলো- একজন নারীকে পাঁচবার খারাপ কাজ এবং ওই নারীকেই দুইবার তিনি আটকে রেখে ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৯ মার্চ তাকে গ্রেফতার করে দেশটির পুলিশ। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন পুলিশের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুসারে, যোশে ম্যারিও গুইলোম্বা কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (CHRIO) এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি ৬৪ বছর বয়সে। এটি মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে। কয়েক বছর আগে CHRIO নামের এই সংগঠনটি বেগম খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ উপাধি দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের কানাডিয়ান সংগঠনের দেওয়া ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেখান। পরে তিনি গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসায় গিয়ে তার হাতে সনদ তুলে দেন। যে সম্মাননা সনদ সংবাদ সম্মেলনে দেখানো হয়েছে, তাতে লেখা ছিল সিএইচআরআইওর ট্রিলিয়াম অ্যাওয়ার্ড হিসেবে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সাড়ে তিন বছর পর এমন পুরস্কার পাওয়ার কথা জানিয়েছে দলটি।
কানাডিয়ান স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র ভিক্টর কোয়াং সিবিসিকে বলেছেন যে, সন্দেহভাজন, মারিও গুইলোম্বা, সংগঠনটির জন্য সুপরিচিত। ২৫ ফেব্রুয়ারী এবং ১ মার্চ ইমিগ্রেশন কাউন্সেলিং এর জন্য CHRIO অফিসে যান। তারপর বৈঠক চলাকালীন খারাপ কাজের চেষ্টার ঘটনা ঘটে।
“অভিযোগগুলি হল যে তাকে খারাপ কাজের চেষ্টা করা হয়েছিল,” বলেন ভিক্টর কোয়াং। CBC নিউজ অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করতে CHRIO-এর অফিসে পৌঁছায়। কোম্পানির অফিসে ফোনে যোগাযোগ করা একজন ব্যক্তি মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, এগুলো শুধু অভিযোগ।
গত বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) অভিযুক্ত গুইলোম্বার টরন্টো ওয়েস্ট কোর্টে ১০০০-ফিঞ্চ অ্যাভিনিউতে হাজির হওয়ার কথা ছিল, সিবিসি নিউজ এমনটি জানায়। পুলিশ বলেছে যে, তারা বিশ্বাস করে যে, আরও কয়েকজন নারী রয়েছেন যারাও একই অভিযোগের শিকার হতে পারে।
সিবিসি নিউজ সুত্র মতে, ম্যারিওর ফেসবুক প্রোফাইল ঘেটে পাওয়া গেছে, তিনি মানবাধিকার বিষয়ে অনেক কাজ করেছেন এবং এই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি অনেক পুরষ্কার জিতে নিয়েছেন। তাছাড়া তিনি অভিবাসন সহায়তার কাজ করেছেন যার কারনে অসংখ্য পুরস্কার এবং স্বীকৃতি পেয়েছেন। তবে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে সেটাও বিশদভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খবর সিবিসি নিউজের।