ভারতীয় বাংলা সিনেমার বেশ সাড়া জাগানো একজন অভিনেত্রী পাওলি দাম। কৈশোর বয়সে অভিনয়ে পদার্পন করলেও পরিচিতি পান অনেক পরে। তবে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুণী এই অভিনেত্রীর কয়েকটি খোলামেলা ছবি ছড়িয়ে পড়তেই বেশ আলোচনায় রয়েছেন তিনি।
পাওলির সৌন্দর্য নাকি ভীষণ মেঠো, প্রাকৃতিক। অর্থাৎ যাকে এক কথায় বলে আর্দি। ডাস্কি স্কিন কমপ্লেকশন এবং কাটা কাটা চোখ মুখ, মাপা সৌন্দর্যের জন্য পাওলিকে বিশেষ কোনও বন্ধনীতে ফেলা সত্যিই মুশকিল।কিছু লোক বলে যে তাকে দেখে আমাদের কিংবদন্তি নায়িকা সুচিত্রা সেনের কথা মনে পড়ে যায়। আবার কেউ কেউ তাঁর ওয়েস্টার্ন পোশাক ক্যারি করার সেন্স দেখে তারিফ না করে পারেন না।
কয়েকদিন আগে পাওলি দামের একটি ফটোশুট নেটিজেনদের নজর কেড়েছিল। সত্যি কথা বলতে, সেই সাহসী ফটোশুটের কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় পারদ চড়ল। সেখানে ঢিলেঢালা শার্টে দেখা যায় পাওলিকে। আর বাকিটা? খোলসা করা যাক।
এই ফটোশুটকে যদি কোনো নাম দেওয়া যায়, তাহলে নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে, ‘টু হট টু হ্যান্ডল’। আক্ষরিক অর্থেই পাওলির মতো দেখতে তা-ই। এই ফটোশুটের জন্য সাদা শার্ট পরেছিলেন পাওলি। শার্টের ফিট একেবারে লুজ, ঢিলেঢালা। স্লিভ অবশ্য ফুল লেন্থ। শার্টের কলার এলোমেলো।
এই লুকের সঙ্গে পাওলির মেকআপও আলাদা। ‘ন্যু’ড মে’ক আপে’র সঙ্গে একটা শিমারি লুক ক্রিয়েট করেছেন এখানে পাওলি। । তার সাথে চুল খোলা রাখলেন। আর অগোছালো কালো চুলই নজর কাড়তে যথেষ্ট।
পাওলির সাহসী অকপট চেহারার সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হল তার নেকলেস। এই সাজের সঙ্গে সাতনারী নেকলেস পরেছেন নায়িকা। সাতনারী নেকলেস নিঃসন্দেহে ঐতিহ্যবাহী গয়না। কিন্তু এমন সাহসী পোশাকের সঙ্গে এই হারের কম্বিনেশনে যে ফিউশন তিনি ক্রিয়েট করেছেন, তাতে শুধু মাত্র একটা কথাই বলা যায়। এক মাত্র পাওলিই পারেন!
২০০৯ সালে ‘কালবেলা’ নামক একটি সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যদিয়ে সবার নজরে আসেন পাওলি দাম। বিশেষ করে, সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর ভক্তদের মাঝে এতটাই সাড়া ফেলে যে, ক্যারিয়ারে আর কখনই পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।