চলছে স্বাধীনতা ঘোষনার মাস, আর এই মাসকে ঘিরে বিশেষ কলার টোন সেট করেছে মোবাইল অপারেটরগুলো। অর্থাৎ কেউ তার মোবাইল ফোন থেকে অন্য কাউকে কল দিলে শুনতে পান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষন। কিন্তু এটা নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, অনেকে করছেন সমালোচনা। এবার এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন লেখক ও সমালোচন সুলতান মির্জা। তার সেই পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-
এই মার্চ মাসে সকল মোবাইল ফোনের কলার টোনে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষন অটো সেটাপ করে দেওয়া হয়েছে, ফলে কল ঢুকলেই বঙ্গবন্ধুর ভাষন শোনা যাচ্ছে। ইহা অগ্রহনযোগ্য বিরক্তিকর বাড়াবাড়ি ইত্যাদি বলে যে কেউ মন্তব্য করতেই পারে।
প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে কলার টোনে কার ভাষন বাজলে গ্রহনযোগ্য হতো ? দুঃখিত কোন কাউন্টার দিচ্ছি না। বাস্তববতা বুঝার চেষ্টা করছি মাত্র।
দেখুন, আওয়ামীলীগ সমর্থন করি বলে বলছি না, নিরপেক্ষতা সুশীলিয়ানা দেখানোর সুযোগ নাই, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষন শুনলে যা ধমনী উজ্জিবিত না হয়, বার বার শুনতে ইচ্ছা না করে, আসলে তার বাঙ্গালিয়ত্ত্ব নিয়ে আমি দ্বিধায় পরে যাই। এর কারন হচ্ছে- মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস, ঐতিহাসিক ৬ দফা, ৭০এর নির্বাচন, ৫২ থেকে ৭১ এর আন্দোলন।
সব ঘটনার মিলনমেলা খুজে পাওয়া যায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের আন স্ক্রিপ্টেড ভাষনে। আর এটা বুঝার জন্য অনেক বড় ফে”সবুক সেলিবেটি, অনেক বড় সুশীল, অনেক বড় সর্ব দলীয় কাঠালী কলা নিরপেক্ষ মুক্তিযুদ্ধ প্রেমিক হওয়ার দরকার পড়ে না।
যদিও যে জাতির একটা অংশের লোকেরা তাদের জাতির পিতাকে হ”/ত্যা করে, হ”/ত্যাকারীদের পুনর্বাসনে সহায়তা, বিচার বন্ধে নতুন আইনের ঘোষনা সহ নানান ভাবে অপমান অপদস্থ করার মাঝেই এক ধরনের রাজনৈতিক তৃপ্তি খুজে।
সেখান শুধু মাত্র মার্চ মাস এসেছে বলে মোবাইল টোনে বঙ্গবন্ধুর ভাষন কেন ? সারা বছর কলার টোনে ৭ই মার্চের ভাষন বাদ্ধতামুলক করলে কি এমন ভবলীলা অশুদ্ধ হয়ে যাবে ?
প্রসংগত, ক্ষমতাসীন দল আ.লীগের বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে সমালোচনা করে থাকে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি। কলার টিউনে বঙ্গবন্ধুর এই ধরনের ভাষন অনেক বিএনপিপন্থীর জন্য একটি মাথাব্যাথার কারন হতে পারে। তবে এটা বলাও অন্যায্যত কিছু নয় যে বাংলাদেশে যে দল ক্ষমতায় আসবে তারা এমনটি করে থাকতে পারে।