আওয়ামীপন্থী ও বিএনপিপন্থীদের হতাহতির ঘটনা অনেক আইনজীবী ও সাংবাদিক আহত হয়েছে। যে ঘটনার প্রক্ষিতে প্রধান বিচারপতি বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের তার খাস কামরায় ডাকেন। এরপর বিচারপতিকে সকল ঘটনা কথা খুলে বলেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের আপিল বিভাগের কাছে তারা ঘটনাটি বর্ণনা করেন।
প্রধান বিচারপতি বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ১১টায় খাস কামরায় আসেন, প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলকে ফোন করব।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এজে মুহাম্মদ আলী বলেন, “গতকাল আদালত চত্বরে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছিল, যা চলছে। আজও কক্ষগুলো তালাবদ্ধ, অনেকের কক্ষের চারপাশে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এই ঘটনার পেছনে বাইরে থেকে কেউ আছে কি না তা দেখতে হবে।” এই অঙ্গনে এটা কি অনুমোদিত? তারা সমিতির সিনিয়র সদস্যদেরও নির্যাতন করেছে। আমরা সুরক্ষা চাই, ভুক্তভোগীরা বলবে।’
সমিতির নির্বাচনে বিএনপি প্যানেল থেকে সেক্রেটারি প্রার্থী ড. রুহুল কুদ্দুস বলেন, “আপনারা দেশের বিচার বিভাগের অভিভাবক। তাই সবার কষ্ট, কষ্ট অভিভাবক হিসেবে জানানো উচিত। সমিতির নির্বাচন সবসময়ই উৎসবমুখর। কিন্তু এবার কি হলো? আজও রুমে ঢুকতে পারিনি তালাবদ্ধ। রুমের বাইরের কক্ষের সামনে পুলিশ।হাজার হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।অনেক আইনজীবী আহত হয়েছেন।পুলিশ পিটিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। গতকালের ঘটনা দেখুন,পুলিশ কিভাবে লাথি দিয়ে বের করে দিয়েছে। আমরা কী অপরাধ করেছি, আমি প্রার্থী, কেন ভোটকেন্দ্রে থাকতে পারি না?
পরে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘মি. রুহুল কুদ্দুস আমি আপনাদের সবাইকে শ্রদ্ধা করি। তোমরা দুজনে ১১ টায় (ব্রেক) এসো। যদি কিছু করার থাকে, আমি তা করব। প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও ফোন করব।
সমিতির সভাপতি প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। তিন-চার শ পুলিশ ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। সবাই পড়ে যাচ্ছিল এবং পুলিশ পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। আমার পায়ে ব্যথা এবং আমি ঠিকভাবে দাঁড়াতে পারি না। আহত হয়েছেন বহু আইনজীবী ও সাংবাদিক।
এ সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আমাকে বসতে দিন এসব কথা শুনুন। 11 এ আসুন, আমরা আপনার কথা শুনব। এখন আমি আদালতের কাজ করি।
একপর্যায়ে রুহুল কুদ্দুস রুমের তালা খুলে পুলিশকে সরানোর অনুরোধ করেন। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আদালতে এ কথা বললে আদেশ হবে। ১১টায় এসো।
এখনো পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গনে থম থমে পরিবেশ বিরজ করছে। আদেশের পরে আবারো উত্তেজনা মূখর পরিবেশের সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারনা করছে অনেক আইজীবি। এখন শুধু আদালতের সিন্ধান্তের জন্য সময়ের অপেক্ষা।