অনেকে পিট বাঁচাতে দিনে বিএনপির হয়ে কাজ করলেও রাতের বেলায় আওয়ামী লীগ করে এমনটাই ধারনা তৃণমূল প্রতিনিধিদের। তার এই ধরনের নেতাদের সনাক্ত করে বয়কটের পরমর্শ দিয়েছেন। এদেরমত কিছু নেতাদের জন্য দলের ভার্ষম্য নষ্ট হচ্ছে বলে ধারনা তাদের।
বিএনপির সফল আন্দোলনের পর সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করা নেতাদের বয়কটের পরামর্শ দেয় দলটির তৃণমূল প্রতিনিধিরা। তারা বলছেন, যারা সম্পদ রক্ষা করে, গ্রেপ্তার এড়ায় তারা দিনের বেলায় বিএনপি হলেও রাতে আওয়ামী লীগ করে, তারা দলের জন্য খুবই বিপজ্জনক। তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে আন্দোলন সফল হবে না। তাই তাদের কোনো পর্যায়ের আন্দোলনে সম্পৃক্ত করা ঠিক হবে না।
বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনা সভায় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা এসব পরামর্শ দেন। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এই বৈঠক হয়। 2001 সাল থেকে নির্বাচিত রাজশাহী বিভাগের দলীয় সমর্থিত 335 জন সাবেক ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। তাদের মধ্যে ৪০ জন বক্তৃতা করেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারিক রহমান লন্ডন থেকে স্কাইপে তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের মতামত নেন।
হাইকমান্ডকে পরামর্শ দিয়ে জনপ্রতিনিধিরা আরও বলেন, সরকারের কোনো ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। কোনো অবস্থাতেই শেখ হাসিনার কথা বিশ্বাস করে তার অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যাবে না। রাজপথে আন্দোলনেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ জন্য সব ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। জনপ্রতিনিধিরা সংগঠনকে সুসংগঠিত করে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সুসংগঠিত করে পরিকল্পিতভাবে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু করার পরামর্শ দেন।
জানতে চাইলে সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি বলেছে এক দফা আন্দোলন হবে। সকল দ্বিধা, অহংকার ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, তৃণমূল পর্যায়ে জনগণকে সংগঠিত করতে হবে, আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। দাবি পূরণ হলে নির্বাচনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। পার্টির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, যুগ্ম সম্পাদক মুনির হোসেন ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম মহাসচিব মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মো. সদস্য আবু বকর সিদ্দিকসহ সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
আসন্ন নির্বাচনে কোনভাবেই শেখ হাসিরার কথার উপর বিশ্বাষ করে নির্বাচনে অংশ্য নিবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিএনপি। তারা বলেছেন তাদের করা দাবি গুলো বাস্তবায়ন না করা হয়ে এই সরকারের অধিনে কোনভাবেই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে না।