ঢাকাই সিনেমার তুমুল জনপ্রিয় ও আলোচিত অভিনেতা শাকিব খান। যাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত কয়েকদিন ধরেই চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ইতিপূর্বে প্রেম-বিয়ে বহুবার সমালোচনায় জড়িয়েছেন তিনি, তবে এবার তার আলোচনায় আসার কারণ একেবারেই ভিন্ন! সম্প্রতি শাকিব খানের বিরুদ্ধে প্রযোজক রহমত উল্যাহর আনা অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও ধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় এফডিসিপাড়া।
বুধবার প্রযোজক-পরিচালক ও ক্যামেরাম্যানদের সংগঠনের পাশাপাশি লিখিত সেই অভিযোগের কপি গেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতেও। সবাই অপেক্ষায় শাকিব খানের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে চলচ্চিত্র শিল্পীদের নিয়ে গঠিত এই সংগঠনটি।
এ বিষয়ে ইতিমধ্যে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। বুধবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী বলেন, ‘এ ইস্যুতে আমরা আমাদের শিল্পীকে (শাকিব খান) প্রাধান্য দেব।’
নিপুণ বলেন, ‘এটা খোলা চোখেই প্রত্যাশিত। শিল্পী সমিতির কাজ শিল্পীদের অধিকার রক্ষা করা। যদিও প্রযোজকের দায়ের করা অভিযোগগুলো ‘শিল্পীর অধিকার রক্ষা’ হিসেবে দেখার সুযোগ আছে কি না, সে বিষয়টি সময়ই বলে দেবে।’
অভিনেত্রী বলেন, ‘যে কেউ সমিতিতে অভিযোগ করতে পারেন। এটিও তেমনই একটি অভিযোগ। আমরা এটা পেয়েছি। আমাদের সভাপতি (ইলিয়াস কাঞ্চন) এখন দেশের বাইরে। তিনি ফিরে এলে সাংগঠনিক টেবিলে বিষয়টি পর্যালোচনা করব। বিষয়টি নিয়ে শাকিব খানের সঙ্গে আলোচনা করব। পুরো বিষয়টি জানার ও বোঝার চেষ্টা করব।
নিপুণ আরও জানান, আগামী সপ্তাহে দেশে ফিরবেন শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি আসলে শাকিব খানকে ফোন করে কথা বলবেন।
নিপুনের ভাষায়, শাকিব খান আমাদের সুপারস্টার। আমরা তার সঙ্গে পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে দেখব। সাধারণভাবে, আমরা আমাদের শিল্পীদের অগ্রাধিকার দেব। এরপর অভিযোগকারী প্রযোজকের সঙ্গেও কথা বলব। তারপর সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত দেওয়া যাবে।
২০১৮ সালে, শাকিব খান অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার একটি অংশের শুটিং করছিলেন। সে সময় সেখানকার একটি হোটেলে নারীকে ধর্ষণ করেন কিং খান। এমনই অভিযোগ সিনেমাটির নির্মাতা রহমত উল্যাহার। বুধবার তিনি এ বিষয়ে পরিচালক, প্রযোজক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
ওই অভিযোগে রহমত উল্লাহ শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এবং আরও উল্লেখ করেন, “শাকিব খানকে নিয়মিত পতিতালয়ে নিয়ে যেতে হতো। তা না হলে অস্ট্রেলিয়ান যৌনকর্মীদের তার হোটেল রুমে নিয়ে আসতে হতো। এটা ছিল নিত্যদিনের রুটিন। একাধিকবার আমাদের এই যৌনকর্মীদের বিপুল পরিমাণ পারিশ্রমিক দিতে হয়েছে।
এছাড়া শাকিব খানের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও মিথ্যা আশ্বাসের অভিযোগও তুলেছেন নির্মাতা রহমত উল্লাহ।
এদিকে এ অভিযোগের আলোকে এখনো শাকিব খানের কাছ থেকে কোনো বক্তব্যই পাওয়া যায়নি। তবে খুব শীঘ্রই বিষয়টির খোলসা হবে বলে মনে করছেন সকলেই।