বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও যেন সর্বদা তাকে নিয়ে চলে তুমুল আলোচনা। আর এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি আবারও এক কাণ্ড ঘটিয়ে ফের বিতর্কের জড়িয়েছেন বিশ্বসেরা এই অঅলরাউন্ডার।
সম্প্রতি ইংল্যান্ড সিরিজের পর দুবাই গিয়ে ‘আরভ জুয়েলার্স’ নামে একটি সোনার দোকান উদ্বোধন করেন। এর মালিক মালিক আরভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ মোল্লা খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার। এ ঘটনাকে ঘিরে দেশজুড়ে তোলপাড়।
এ সময় সাকিবের বিরুদ্ধে আবারো বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন।
সাইদুল হক সুমন এক ভিডিও বার্তায় বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে ভারত সিরিজ চলাকালীন দেশের একটি হোটেলে সাকিব তাকে মারতে আসেন। শাকিবের দুবাই সফরকে ঘিরে বিতর্কের পর এমন গুরুতর অভিযোগ করলেন তিনি।
এক ভিডিও বার্তায় সুমন বলেন, ‘সাকিব আল হাসান আমাদের বিখ্যাত ক্রিকেটার, যাকে নিয়ে আমরা গর্বিত। সোনার দোকান খুলতে তিনি দুবাই চলে যান। সেলিব্রিটিদের কেউ আমন্ত্রণ জানালে আমি যেতে পারি। আমি এখন পর্যন্ত সাকিব আল হাসানের কোনো ভুল দেখছি না। কিন্তু ডিবি, গোয়েন্দা পুলিশের কাছ থেকে জানতে পেরে সাকিবকে জানানো হয়, “আপনি যে দোকানটি উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তা খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত। সে পলাতক এবং আমরা ইন্টারপোলের সহায়তায় তাকে ধরার চেষ্টা করছি। আপনি তার দোকান উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন।তবুও সাকিব আল হাসান শোনেননি।’
‘আমার কাছে মনে হয়েছে, এটা যে একটা অপরাধ। উনি জানেন কি-না। সেলিব্রেটি হলে তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের বিচার হবে না? সাকিব আল হাসানের ভক্তদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কিছু বলতে চাই, কয়েকদিন আগে একটি ভিডিওতে তাকে অনুরোধ করেছিলাম। , জুয়ায় না জড়াতে। তাকে বলেছিলাম জুয়ায় না জড়াতে, প্রয়োজনে তিন লাখ টাকা দেব। সাকিব আল হাসান এমন একজন মানুষ যে সমালোচনা সহ্য করতে পারে না।’
‘কয়েকদিন আগে তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আমি তাকে দেখিনি, সে হঠাৎ সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ-ভারতের ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন আমাকে দেখে পুলিশ ও বিসিবি কর্মকর্তাদের সামনে আমাকে মারতে আসে! আমেরিকা থেকে কিছু লোক ছিল, যাদের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তাদের সামনেই সবাইকে উপেক্ষা করে আমাকে মারতে আসে। আমি কিছু বললাম না। পুলিশ এসে আমাকে বললো- “ছাড়ো ভাই। সে একজন সেলিব্রেটি। তাকে নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। আমিও মনে করেছিলাম, যাক সেলিব্রেটি মানুষ, তার যদি কিছু অপরাধ করে আমি মাইরও খাই, কার কাছে বিচার দেব?’
‘তারপরও আমি কিছু বলি নাই। কিন্তু আজ আমার কাছে মনে হয়েছে, জুয়া থেকে শুরু করে তার এই দুবাইয়ে উদ্বোধন করা পর্যন্ত – বিদ্বান যদি খারাপ মানুষ হয়, তাহলে পরিতাজ্য। সে যতই কোয়ালিফায়েড লোক হোক, যদি মানুষ হিসেবে ভালো না হয়, তাহলে তার ভক্ত হওয়ার সুযোগ নাই। ‘
এদিকে দুবাইয়ের ঘটনার পাশাপাশি ব্যারিস্টার সুমনের এই অভিযোগকে কেন্দ্র সারাদেশজুড়েই রীতিমতো সাকিবকে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।