সম্প্রতি আবারো নতুন এক সমালোচনার মুখে শাকিব খান।একের পর এক সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ছে না তার। তবে এবারের অভিযোগ বেশ গুরুতর। সাকিবের বিরুদ্ধে এবার আনা হয়েছে নারী কেলেঙ্কারির মামলা। এ দিকে সেই প্রযোজক রহমত উল্লাহ জানান, ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধ** অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে শাকিবকে প্রযোজকের কাছে নিয়ে যান অপু বিশ্বাস।
শাকিবের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে প্রযোজক রহমত উল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিষয়টি সমাধানের জন্য অপু বিশ্বাস আমাকে বারবার ফোন করেছেন। তিনি আমাকে শাকিব খানের সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ করেন। আমি স্পষ্ট বললাম- শাকিব অবশ্যই আমার সাথে দেখা করতে আসবে। কিছুক্ষণ পর শাকিবকে নিয়ে আসেন অপু।
তবে এসব বিষয়ে শাকিব কিংবা অপু বিশ্বাস কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার চিত্রায়ণের সময় শাকিব খানের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে প্রযোজক রহমত উল্লাহ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে অভিযোগ করা হয়েছে যে, শুটিং চলাকালীন শাকিবকে নিয়মিত পতিতালয়ে নিয়ে যেতে হতো অথবা অস্ট্রেলিয়ান যৌনকর্মীদের তার হোটেলের ঘরে নিয়ে আসতে হতো। এটি একটি দৈনন্দিন রুটিন ছিল. কখনো কখনো একাধিকবার। আমাদের এই যৌনকর্মীদের বিপুল পরিমাণ পারিশ্রমিক দিতে হয়েছে।
সহপ্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ এনে অস্ট্রেলিয়ায় একটি মামলাও করা হয়, যার মামলা নম্বর: NSW Police reference no: E ৬২৪৯৪৯৫৯।
ওই ঘটনার ভিত্তিতে অভিযোগে রহমত উল্লাহ আরও বলেন, একবার তিনি আমাদের এক নারী সহ-প্রযোজককে ধ** করেছিলেন। তিনি নির্যাতিতাকে অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। এরপর এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। নির্যাতিতা নিজেই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী। আমি সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী ছিলাম। এই ঘটনার পর তিনি এবং তার পরিবার সামাজিকভাবে যে শোক ও কদর্যতা ভোগ করেছেন তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ধ** বিচার চাইতে গিয়ে এক পর্যায়ে তার ও তার পরিবারের পক্ষে বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ে। সেদিন আমরা যখন সহকর্মীকে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত তখন কাউকে কিছু না বলে চুপচাপ অস্ট্রেলিয়া চলে যান শাকিব খান। এরপর থেকে আমি একাধিকবার সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। পরে ২০১৮ সালে, যখন তিনি অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে আসেন, তখন তাকে ধ**র অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সামাজিক চাপ এবং আরও নিপীড়নের ভয়ে ভিকটিম মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় যাত্রা থেকে মুক্তি পান শাকিব।
প্রসঙ্গত, এ দিকে শাকিব খান নিজেও এখনো এ নিয়ে খোলেননি মুখ। তবে তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তার দুই স্ত্রী অপু বিশ্বাস এবং বুবলি। তারা এটাকে দেখছেন ষড়যন্ত্র হিসেবে।