নদীর বালি সরাতেই মিলছে সোনার মোহর। এটি কি কোন গুপ্ত ধনের হাড়ি ভেঙ্গে গিয়ে মাটির সাথে মিশে থাক মোহর নাকি অন্য কিছু। এই স্থানে কিভাবে এলো এতো মোহর। এই প্রশ্নে উত্তর কারো কাছে না থাকলেও সবাই মোহর কুড়াতেই ব্যস্ত।
নদীর বালি সরালেই মিলছে সোনার মোহর- এমন খবর ছড়াতেই চরে ভিড় জমিয়েছে গ্রামবাসী। সোনার মোহর খুঁজতে কেউ বালতি নিয়ে এসেছেন, কেউ আবার কোদাল দিয়ে নদীপাড়ের বালি খুঁড়ছেন। এ নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মুরারাই থানার পারকান্দি গ্রামে।
গ্রামটির পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে বাঁশলোই নদী। সেই নদীতে প্রায়ই ট্রাক্টর নামিয়ে বালি তোলা হয়।
জানা যায়, কয়েক দিন আগে কিছু লোক নদীতে বালি তুলতে নেমেছিলেন। এসময় একজন বেশ কয়েকটি চকচকে গোলাকার মোহর সদৃশ ধাতব কিছু পান। আকারে খুবই ছোট সোনালী রঙের বস্তুগুলোর ওপরে কিছু চিহ্ন আঁকা। তবে ঠিক কী আঁকা তা স্পষ্ট নয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নদীতে পাওয়া বস্তুটি প্রাচীন কোনো লিপি বা মোহর হতে পারে। সোনালী রঙের হওয়ায় সেগুলোকে সোনার মোহর বলে দাবি করেছেন কেউ কেউ।
এ খবর জানাজানি হতেই নদীর পাড়ে ভিড় জমাতে শুরু করে গ্রামবাসী। ‘সোনার মোহর’ পাওয়ার আশায় শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই ব্যস্ত বালি খুঁড়তে। তবে আর কারও ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ার খবর পাওয়া যায়নি।
বস্তুগুলো বাঁশলোই নদীতে কীভাবে এলো তা নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে স্থানীয় প্রশাসন।
এই মোহর গুলো আসল না নকল তা এখনো যানা যায়নি। তবে অনেকেরই বিশ্বাস এটি পুরোনো দিনের রাজা-বাদশাদের ফেলে যাওয়া মোহর। আবার অনেকেই বলছে এই মোহর গুলো সেই সময়ের জলদস্যুদের হতে পারে। তবে আসল রহস্য এখনো অমিমাংশিত।