অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি সৌদি আরবে গিয়ে ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফেরার পরপরই বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার হন। এরপর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারেও পাঠানো হয়। তবে যে গুরুত্বপূর্ন বিষয়টি বিবেচনায় মাহিয়া মাহিকে জামিন দেওয়া হলো সেটি কারণে মাননীয় আদালত প্রশংসিত হয়েছেন।
নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। অনাগত সন্তানের জন্য দোয়া করতেই তিনি স্বামীর সঙ্গে ওমরাহ করতে গিয়েছিলেন তিনি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের দায়ের করা মামলায় তাকে বিমানবণ্দর এলাকা ঠেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মাহির গ্রেফতারের প্রতিবাদ করেছেন অনেকেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের কথাও বলছেন তিনি। মাহিয়া মাহি ইস্যুতে কথা বলেছেন দুই বাংলার অভিনেত্রী জয়া আহসানও। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে মাহি ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
ফেস”বুকে জয়া লিখেছেন, ‘অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মাত্রই খবরে পড়লাম, পুলিশ তাকে রিমান্ডে আনার আবেদন করলেও আদালত তা মঞ্জুর করেননি। মাহি একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেও দেশের প্রতিটি নাগরিকের মতো তিনিও আইনের আওতায়। কিন্তু এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে তিনি এখন ৯ মাসের গর্ভবতী। তার অভিযোগের তদন্ত করা হোক, কিন্তু একজন গর্ভবতী মা ও তার সন্তানের যেন কোনো ক্ষতি না হয়।’
জয়া অনাগত সন্তানের প্রতি সংবেদনশীল থাকার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, রি”মান্ড মঞ্জুর না করার জন্য আমি বিজ্ঞ আদালতকে ধন্যবাদ জানাই। আমি পুলিশ কর্মকর্তাদেরও অনুরোধ করব মা ও অনাগত সন্তানের প্রতি সংবেদনশীল হতে।
এর আগে চলচ্চিত্র নির্মাতা শিহাব শাহীন, আশফাক নিপুন, রেদওয়ান রনি, অভিনেত্রী জাহারা মিতু, নায়ক আদর আজাদসহ অনেকে মাহিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বাতিলের দাবি জানান। তবে মাহিয়া মাহিকে হঠাৎ করে গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়েও অনেকে সমালোচনা করেছেন। এদিকে মাহিয়া মাহি অন্ত:সত্বা এমন খবরের বিষয়ে পুলিশ জানেনা বলে জানিয়েছিল। তবে তিনি একজন বিনোদন জগতের তারকা এবং মা হতে যাচ্ছেন এমন বিবেচনায় তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে।