একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে খুনের ঘটনায় পলাতক আসামি আরাভ খান দুবাইয়ে একটি বড় ধরনের জুয়েলার্সের উদ্বোধনের জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেট সুপারস্টার সাকিব আল হাসানসহ অন্য বেশ কয়েকজন বিনোদন জগতের তারকা দুবাইয়ে যান। এরপর বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা সমালোচনা। এবার এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন সমালোচক-লেখক মির্জা সুলতান। তার সেই পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য।
দুবাইয়ের স্বর্নের দোকানের মালিক দুবাই কেষ্টা আরাভের আসল নাম রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয়। ২০১৮ সালে পু লিশের বিশেষ শাখার (এসবি) স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স পরিদর্শক মামুন ইমরান খানকে (৩৪) পুড়িয়ে হ”/ত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি আরাভ খান।
এসবির মামুন হ”/ত্যার ঘটনায় তার ভাই ডিএমপির বনানী থানায় ২০১৮ সালের ১০ জুলাই একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ২০১৯ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
হ”/ত্যা মামলার সাজা থেকে বাঁচতে আবু ইউসুফ লিমন নামে এক তরুণকে বিকেএসপিতে খেলার সুযোগের প্রলো”ভন দেখায় আরাভ। এই প্রলোভনে পড়ে লিমন আদালতে আরাভের বদলে আত্মসমর্পণ করে। পরে আদালত লিমনকে কারাগারে পাঠায়।
বর্তমানে দুবাইয়ে স্বর্ণের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আরাভ। সেই আরাভ খানের সোনার দোকানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই পারিশ্রমিকের বিনিময়ে দুবাই গেছে বাংলাদেশের তারকা কামলারা।
কথা হচ্ছে, যেকোন বিশেষ ব্যাক্তি যে কারো যে কোন প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করা দোষের কিছু না। তবে যেসব ব্যাক্তি ঐ উদ্বোধনে যাবে, তার আগে কোন ব্যাক্তির প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করতে যাচ্ছে, সেটা না জানাটা বড় ধরনের দোষের। ক্ষমার অযোগ্য। এইজন্য যে, বাংলাদেশ থেকে যারা দুবাইয়ে স্বর্নের দোকান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গেছে, তারা প্রত্যেকেই মজুরীর বিনিময়ে গেছে। মোটকথা কামলাগিরি করতে গেছে। আর তাই বাংলাদেশ থেকে দুবাই যাওয়া এইসব কামলাদের ব্যবস্থা নিতেই হবে।
উল্লেখ্য, আরাভ খান গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার আশুটিয়া গ্রামের মতিউর রহমান মোল্লার ছেলে। রবিউলও আপন, সোহাগ, রেদয় ও হৃদয় নামে পরিচিত, ডিবি সূত্র থেকে এমনটি জানানো হয়েছে। এদিকে তিনি কীভাবে দুবাইয়ে কম সময়ে একজন কোটিপতি হলেন সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে বুর্জ খলিফাতেও তিনি একটি ফ্লাট কিনেছেন বলেও গুঞ্জন উঠেছে।