বাংলা সিনেমার এক অন্যতম নক্ষত্রের নাম শাকিব খান। বলতে গেলে, বর্তমানে ঢালিউডে সর্বোচ্চ পরিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেতাদের মধ্যে তিনি শীর্ষে। তবে সম্প্রতি গত কয়েকদিন ধরেই গুণী এই অভিনেতাকে নিয়েই চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
বিশেষ করে, গেল ১৫ মার্চ শাকিব খানের বিরুদ্ধে শিডিউল ফাঁসানো ও সহ-না’রী প্রযোজ’ককে ‘ধ”র্ষ”ণে”র’ মতো গু’রু’তর অভিযোগ আনেন এক প্রযোজক। এ বিষয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন রহমত উল্লাহ নামের ওই প্রযোজক।
প্রযোজকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে থানায় গিয়েছিলেন শাকিব খান। শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে গুলশান থানায় হাজির হন শাকিব খান। কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। মামলাটি আদালতে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
প্রথম আলো গণমাধ্যম এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলী শাকিব খানকে বলেন, “আপনার বিষয়টি বড় বিষয়, তবে মামলা নেওয়া যাবে না। যেহেতু বিষয়টি শাকিব খানের, তাই আমাকে এখন অনেকের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে। আমি উচ্চতর কারো সাথে কথা না বলে এই কেস নিতে পারি না। গভীর রাত হওয়ায় কারো সাথে কথা বলা সম্ভব নয়।”
তিনি বলেন, শাকিব খান যে ধরনের অভিযোগ করতে এসেছেন তা থানায় নয় আদালতে করতে হবে। এ ধরনের অভিযোগ থানায় নেওয়া সম্ভব নয়।
শাকিব খানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খায়রুল হাসান বলেন, “যেহেতু এটি একটি আমলযোগ্য অপরাধ, তিনি চাইলে মামলাটি নিতে পারতেন। কারণ এ ধরনের অভিযোগ সাধারণত থানায় দায়ের করা হয়। তারপরও কেন তিনি (ওসি) মামলা নেননি, তিনি একাই ভালো বলতে পারবেন।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলশান থানায় হাজির হন শাকিব। সাড়ে ১২টার দিকে শাকিব খান সাংবাদিকদের বলেন, রহমত উল্লাহ সিনেমার ঘাড়ে বন্দুক রেখে টাকা দাবি করেন। আগামীকাল মামলা করতে আদালতে যাব। অস্ট্রেলিয়ায় আমার বিরুদ্ধে মামলা হলে আমি সেখান থেকে আসতে পারতাম না।
শাকিব খান বলেন, “যে রহমত উল্লাহ নিজেকে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক বলে দাবি করছেন তিনি আসলে এই সিনেমার প্রকৃত প্রযোজক নন। সিনেমাটির আসল প্রযোজক ভার্টেক্স মিডিয়ার জানে আলম। যা চুক্তিপত্রেও লেখা আছে। তিনি মিথ্যাচার করেছেন। এতে অনেক লোক জড়িত। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাই আমি ভুয়া প্রযোজকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।
এদিকে শাকিব খানের এ অভিযোগ উঠার পরপরই রীতিমতো বিনোদন অঙ্গনজুড়ে বইছে নানা সমালোচনা ঝড়। তবে কেউ কেউ আবার শাকিব খানের পক্ষ নিয়ে দাবি করেন, অভিনেতাকে ফাঁসাতেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।