গতকাল ঢাকাই সিনেমা জগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি সৌদি আরব থেকে বিমানবন্দরে নামার পর বাইরে এলে বিমানবন্দর এলাকায় গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাকে আদালতে পাঠানো হয় এবং সেখান থেকে কারাগারেও পাঠানো হয়। সেখান থেকে তিনি জামিন পান এবং জামিন পেয়ে সংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি বলেন, “আমাকে গ্রেপ্তারের পর থেকে পুলিশ আমাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নানাভাবে নি”র্যা/তন করেছে। আমি প্রেগন্যান্ট বলার পরেও পানি খেতে চাইলে প্রায় এক ঘণ্টা পানি দেয়নি। তবে কারাগারের ভেতরে জেলারসহ অন্যান্যরা খুব মানবিক।
সম্প্রতি, গাজীপুরে তার স্বামীর একটি জমি দখল চেষ্টা নিয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামের বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, আমার সঙ্গে যেভাবে আচরণ করা হয়েছে, আমার স্বামী রকিব সরকার দেশে এলে তাকেও এভাবে নি”র্যা/তন ও হয়”রানি করা হবে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিয়ে লাইভে যাওয়ার বিষয় নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
মাহি বলেন, আমি শুধু একজনের (মোল্লা নজরুল ইসলাম) বিরুদ্ধে কথা বলেছি, পুরো পুলিশ বাহি’নীর বিরুদ্ধে নয়। আমি পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে যাইনি। এদিকে তার ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে দুটি মামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন এ অভিনেত্রী।
এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারের পর জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান মাহিয়া মাহি। শনিবার (১৮ মার্চ) সোয়া আটটার দিকে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
এর আগে বিকেলে গাজীপুর মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ দুই মামলায় মাহিয়া মাহিকে জামিন দেন। জামিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কারাগারে পৌঁছালে তিনি মুক্তি পান।
তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর তার সহকর্মী তারকারা তার পাশে দাঁড়ান এবং প্রতিবাদ করেন। মাহিয়া মাহি গ্রেফতার হলেও তার স্বামী কোথায় রয়েছেন সে বিষয়টি জানা যায়নি। এদিকে তিনি বিদেশে রয়েছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মাহিয়া মাহি। তিনি দেশে ফিরলে গ্রেফতার হতে পারেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।