সাবেক মডেল ও অভিনেত্রী, ইসলামি শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে মিডিয়া থেকে বিদায় নেওয়া নাজনীন আক্তার হ্যাপি (Naznin Akter Happy) তার স্বামী মুফতি মোহাম্মদ তালহার (Mufti Mohammad Talha) বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেছেন, তালহা তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন এবং কমপক্ষে ৯টি গোপন বিয়ে করেছেন।
নির্যাতনের অভিযোগ ও আর্থিক শোষণের অভিযোগ
একটি ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে হ্যাপি জানান, বিয়ের পর স্বামীর আসল রূপ সামনে আসে। তিনি বলেন, “তালাক চাইলে আমাকে মারধর করত, আর দাবি করত ৫০ লাখ বা ১ কোটি টাকা, অথবা সন্তানের সারাজীবনের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে।”
তিনি অভিযোগ করেন, তার পরিবার তালহাকে গ্রহণ না করায়, নিজের ঘরেই তাকে আশ্রয় দেন এবং উবার চালানোর সময়ও আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেন। হ্যাপির ভাষায়, “আমার ব্যবসার টাকা সংসারে খরচ করেছি, অথচ সে তা ব্যয় করেছে অন্য নারীর পেছনে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “তালহার উপার্জনের টাকা কখনো সংসারে খরচ হয়নি, বরং সব গেছে মেয়েদের পেছনে। আমার ও সন্তানের খরচ সে কখনো দেয়নি।”
তালহার বিরুদ্ধে প্রমাণ ও অভিযোগের খণ্ডন
হ্যাপি জানান, সহিংসতার ভিডিও প্রমাণ রাখা সম্ভব হয়নি, কারণ “রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় কেউ ভিডিও করতে পারে না।”
অন্যদিকে, তালহার আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফয়জুল্লাহ ফয়েজ (Advocate Fayzullah Fayez) হ্যাপির সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, হ্যাপি তালহার একাধিক বিয়ের বিষয় আগে থেকেই জানতেন এবং কিছু ক্ষেত্রে সহায়তাও করেছেন।
তিনি বলেন, “গত ৫-৬ বছরে তালহা হ্যাপি ও তার পরিবারের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করেছেন।” আরও দাবি করেন, “গত সপ্তাহেই হ্যাপি ৮ লাখ ১৮ হাজার টাকা নিয়েছেন, অথচ এখন যৌতুকের মামলা দায়ের করছেন।”
তালহার পক্ষের বক্তব্যে বলা হয়, সন্তানের অসুস্থতাকে নির্যাতনের প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরা বিভ্রান্তিকর এবং “শুধু পোশাক পাল্টালেই কেউ বিশ্বাসযোগ্য হয়ে যায় না”—এই উপলব্ধিতে এখন তালহা এসেছেন।