জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (Jagannath University)–এর শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি জোরালো সংহতি প্রকাশ করেছেন উমামা ফাতেমা (Umama Fatema), যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র। তিনি ফেসবুকে এক বিবৃতিতে লেখেন, “আমি উমামা ফাতেমা, একজন ছাত্রনেতৃত্ব ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একজন অংশীদার হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করছি।”
শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবি
জবির শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের কাছে অবস্থান নিয়ে যে তিন দফা দাবি উত্থাপন করেছেন, তা হলো:
- আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
- ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
- বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক (ECNEC) সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
পুলিশের লাঠিচার্জ ও আন্দোলনের প্রেক্ষাপট
গতকাল জবির শিক্ষার্থীদের ঘোষিত লংমার্চে পুলিশ লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষকসহ বহু শিক্ষার্থী আহত হন। উমামা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়েছে, টিয়ারশেল ছোঁড়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “জুলাই আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (Dhaka University) থেকে প্রতিদিন মিছিল করতাম। সেই মিছিলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় মিছিল অংশ নিত। সেই আন্দোলনে জবির দুইজন শিক্ষার্থী শহিদ হয়েছেন।”
উপেক্ষিত দাবি ও দীর্ঘদিনের আন্দোলন
উমামা আক্ষেপ করে বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বছরের পর বছর ধরে আবাসনের জন্য আন্দোলন করছে। অতীত সরকার উপেক্ষা করেছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও এখনও দাবি পূরণে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।” তিনি মনে করেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার আবাসিক হল ছাত্রদের অধিকার এবং তার জন্য দুই দশক আন্দোলন চলা অযৌক্তিক।
উমামার আহ্বান
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উমামা বলেন, “আশা করি দ্রুত এই তিন দফা দাবি মেনে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আসনসংকট সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।”