মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার পুনরায় চালুর সম্ভাবনার বার্তা দিলেন আসিফ নজরুল

প্রায় এক বছর পর আবারও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ ( Bangladesh ) থেকে শ্রমিক পাঠানোর পথ খুলে যেতে পারে বলে আশার বার্তা দিয়েছেন আসিফ নজরুল (Asif Nazrul)। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম (Steven Sim) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাসিফউদ্দিন নাসিটিওন (Saifuddin Nasution)–এর সঙ্গে মালয়েশিয়ায় এক বৈঠকে মিলিত হন বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

শর্তহীন কম খরচে শ্রমিক পাঠানোর প্রস্তাব

উক্ত বৈঠকে আসিফ নজরুল মালয়েশিয়ায় কোনো ধরনের শর্ত ছাড়াই কম খরচে বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠক-পরবর্তী এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, গত বছরের শেষ প্রান্তিকে যেসব বাংলাদেশি শ্রমিক মালয়েশিয়া যেতে পারেননি, তাদের ভিসা কার্যক্রম খুব শিগগিরই চালু হতে পারে।

আসিফ নজরুল বলেন, প্রায় ১৭ হাজার শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। প্রথম ধাপে ৭ হাজার ৯২৬ জনের তালিকা চূড়ান্ত করেছে মালয়েশিয়া। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা মালয়েশিয়ায় কাজের সুযোগ পাবেন।

বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার আশ্বাস

তিনি আরও জানান, আগামী কয়েক মাসে মালয়েশিয়া ১ থেকে দেড় লাখ বিদেশি শ্রমিক নেবে এবং বাংলাদেশকে এই নিয়োগে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম।

নিরাপদ কর্মসংস্থানের পরিবেশ নিশ্চিত করার উদ্যোগ

বৈঠকে উভয় দেশের পক্ষ থেকেই মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের (Bangladeshi Workers) নিরাপত্তা, অবৈধ কর্মীদের বৈধকরণ এবং নতুন শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। পাশাপাশি উভয় পক্ষই শ্রমিকদের জন্য একটি নিরাপদ, ন্যায্য ও সম্মানজনক কর্মসংস্থানের বাস্তুতন্ত্র গঠনের লক্ষ্যে কৌশলগত সহযোগিতা জোরদারে সম্মত হয়।

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ বিভাগের বিবৃতি

বিকেলে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম মালয়েশিয়াকে একটি নীতিনির্ধারক কর্মসংস্থানের গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি ‘মাদানি মালয়েশিয়া’ কাঠামোর মূলনীতি ইহসান, কেডিলান ও কেসেহাতানের আলোকে বিদেশি শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা, কল্যাণ এবং দক্ষতা উন্নয়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

এছাড়াও, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সফর দুই দেশের মধ্যে উন্মুক্ততা এবং সহযোগিতার মনোভাবকে প্রতিফলিত করে, যা বিশ্ব শ্রমবাজারে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এবং টেকসই উন্নয়ন ও সর্বজনীন কল্যাণের এজেন্ডাকে সমর্থন করবে।