সজীব ওয়াজেদ জয় (Sajeeb Wazed Joy)–এর বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণের বিষয়ে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। একাধিক সূত্র দাবি করেছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আর্থিক অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগের কারণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। তবে এ বিষয়ে জয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাজনৈতিক পটভূমি এবং মামলার প্রসঙ্গ
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ (Awami League) সরকারের সময় দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নিপীড়ন ও গুম-খুনের অভিযোগ ওঠে। এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)–র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের দেশে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে বলে দাবি করেছে প্রতিবেদনটি।
এছাড়া জয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতে মামলাও রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তার বিরুদ্ধে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি রয়েছে। তবে সরকারি বা বিচার বিভাগীয় কোনো পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রে আর্থিক অনিয়ম তদন্তে এফবিআই
প্রতিবেদনটি দাবি করে, জয় যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই (FBI) তদন্ত করছে। অভিযোগ অনুযায়ী, এই আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে জয়ের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই তদন্তের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সরকারি সংস্থা থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য প্রকাশ হয়নি।
পারিবারিক নাগরিকত্ব প্রসঙ্গ
একই সূত্র দাবি করেছে, সজীব ওয়াজেদ জয়ের বোন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল (Saima Wazed)ও যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশের নাগরিকত্ব নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এতে করে তার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (World Health Organization) দায়িত্ব থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
বিশ্লেষণ ও মন্তব্য
প্রতিবেদনটি দাবি করে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিচারিক ঝুঁকি এবং আন্তর্জাতিক তদন্তের মুখে পড়েই জয় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। যদিও এই দাবি সম্পর্কে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন উৎস থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।