ভারতের অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে চীন (China)। সম্প্রতি চীন অরুণাচলের ২৭টি স্থানের নতুন নাম প্রকাশ করে জানায়, এই অঞ্চল তাদের ‘জাংনান’ নামক এলাকা এবং এটি চীনের সার্বভৌম অঞ্চল। চীন বলছে, অরুণাচলের ওপর নামকরণ বা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত তাদের স্বাধিকারভুক্ত বিষয়।
চীনের এই অবস্থানের প্রেক্ষিতে ভারত কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলে, “নতুন নাম দিলেই বাস্তব বদলায় না। অরুণাচল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।” ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (Indian Ministry of External Affairs) এক বিবৃতিতে জানায়, চীনের এই প্রচেষ্টা তারা তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
অরুণাচলকে ঘিরে কূটনৈতিক চাপানউতোর
চীন দাবি করেছে, ১৯৮৭ সালে ভারতের পক্ষ থেকে “অবৈধভাবে” অরুণাচল প্রদেশ গঠন করা হয়। সে সময় চীন তাৎক্ষণিকভাবে বিরোধিতা করে এবং এখনো সেই অবস্থানেই অটল রয়েছে। বেইজিংয়ের ভাষায়, জাংনান অঞ্চল পূর্ব সেক্টরের অন্তর্গত, যা ঐতিহাসিকভাবে চীনের ভূখণ্ড।
২০২৪ সালের এপ্রিলে চীন অরুণাচলের ৩০টি স্থানের নাম পরিবর্তন করেছিল—যার মধ্যে ১২টি পাহাড়, ৪টি নদী, ১টি হ্রদ, ১টি পাহাড়ি পথ ও ১১টি এলাকা অন্তর্ভুক্ত ছিল। আর এবার ২০২৫ সালে নতুন করে ২৭টি নাম বদল করায় চীন যেন বার্তা দিচ্ছে, অরুণাচল নয়, বরং ‘জাংনান’ই বাস্তব।
ভারতের প্রতিবাদ ও চীনের প্রতিক্রিয়া
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চীনের এই আচরণ কেবল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, এবং তা বাস্তবতা বদলাতে পারে না। সীমান্ত নির্ধারণ নিয়ে চীন দাবি করছে, পূর্ব, মধ্য, পশ্চিম ও সিকিম (Sikkim)—এই চারটি সেক্টরে বিভক্ত চীন-ভারত সীমান্ত কখনোই চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হয়নি।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে ভারত নয় বরং ‘জাংনান’ নামে চিহ্নিত চীনা ভূখণ্ডের প্রতিবেশী রাষ্ট্র হয়ে দাঁড়াতে পারে—এমন ইঙ্গিতও উঠে আসছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক আলোচনায়।
উৎস
**সূত্র: রয়টার্স।