জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানালেন মাহফুজ আলম, যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম (Mahfuz Alam) বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবির আন্দোলন তিনি সমর্থন করেন এবং যেকোনো প্রয়োজনে—even ঝুঁকিপূর্ণ হলেও—তিনি তাদের পাশে থাকবেন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ব্যক্তিগত অবস্থান

শুক্রবার (১৬ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি লেখেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (Jagannath University) থেকে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে দুইজন শিক্ষার্থী শহিদ হয়েছেন এবং অনেকেই আহত হয়েছেন। সেই আত্মিক বন্ধন আমাকে তাদের পাশে দাঁড়াতে বাধ্য করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই বন্ধন কোনো অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডে ছিন্ন হবে না।’

সংলাপের প্রচেষ্টা ও বোতল নিক্ষেপ

মাহফুজ আলম জানান, তথ্য মন্ত্রণালয় (Information Ministry) ও অন্যান্য প্রশাসনিক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে তিনি শিক্ষার্থীদের দাবির সমাধানে ভিসি ও শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানালেও তারা যমুনার কাছাকাছি গিয়ে আন্দোলনে নামেন। পরবর্তীতে বুধবার দুপুর থেকে তিনি ভিসির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে রাত ৯টায় কাকরাইল মোড় (Kakrail Mor) এলাকায় তিনটি নির্ধারিত টকিং পয়েন্ট নিয়ে যান।

তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের সামনে কথা বলার সময় একজন শিক্ষার্থী তাঁর ওপর বোতল নিক্ষেপ করেন। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হোক এই অন্তর্ঘাতমূলক কাজ কার উৎসাহে হয়েছে।

আক্ষেপ ও দুঃখপ্রকাশ

ঘটনার পরে হতাশা ও ক্ষুদ্ধতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে একটি দলের পক্ষ থেকে হত্যার হুমকি এবং আক্রমণের কারণে আমার মনে হয়েছিল, এটি পরিকল্পিত হতে পারে। তবে যদি কারো প্রতি আমার বক্তব্য আঘাত করে থাকে, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

সাংবাদিক সম্মেলন ও নীতিগত অবস্থান

পরবর্তীতে মাহফুজ আলম ৫০ মিটার দূরত্বে আরেকটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন, যেখানে তিনি পুনরায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং বিভাগীয় তদন্ত ও দাবির রোডম্যাপের আশ্বাস দেন।

পুলিশি হামলার নিন্দা ও ভবিষ্যতের প্রত্যাশা

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘জবির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আবাসনের দাবিটি একান্তই ন্যায্য এবং দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানাই।’ তিনি আরও জানান, ডিএমপি (DMP) কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন কোনোভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর জোরপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া না হয়।

শেষে তিনি লেখেন, ‘ভুল হলে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। সবার সুমতি হোক।’