তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম (Mahfuz Alam)-এর মাথায় বোতল ছুড়ে মারার ঘটনায় আলোচিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (Jagannath University) শিক্ষার্থী ইশতিয়াক হোসাইন (Ishtiaque Hossain) ২৬ ঘণ্টা আটক থাকার পর ডিবি কার্যালয় থেকে পরিবারের জিম্মায় মুক্তি পেয়েছেন। শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় ছাড়া পেয়ে রাতে সাংবাদিকদের সামনে তিনি অভিযোগ করেন, তাকে ডিবি কার্যালয়ে মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
ইশতিয়াক জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় তাকে তার বাসা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ (Dhaka Metropolitan Detective Police)। পরিবারের সদস্যদের জানানো হয় অনেক দেরিতে, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে। তিনি বলেন, “আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়নি, তবে অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, এমনকি ফাঁসির আসামিদের সঙ্গে জেল হাজতে রাখার হুমকিও দেওয়া হয়।”
তিনি আরও বলেন, “বিভিন্ন নাম্বার থেকে কল করে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বাসা থেকে বের হলে মব অ্যাটাক হবে।”
ঘটনার পটভূমি
গত ১৪ মে রাতে কাকরাইল মসজিদের সামনে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সেখানে তার বক্তব্যের সময় শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন ইশতিয়াক হোসাইন একটি পানির বোতল ছুড়ে মারেন, যা উপদেষ্টার মাথায় গিয়ে লাগে। ঘটনাটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং এনসিপি নেতারা তীব্র নিন্দা জানান।
প্রশাসনের পদক্ষেপ
বৃহস্পতিবার ঘটনার জের ধরে ইশতিয়াকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে প্রশাসন। পরে তাকে তার বাসা থেকে আটক করা হয়।
ইশতিয়াক তার বক্তব্যে বলেন, “আমার কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। ডিবি কর্মকর্তারাও আমার ফোনে তেমন কিছু পাননি। আমি কোনো দলের সদস্য নই।”