সাজেদা খাতুন নামে এক নারী যাত্রী হয়ে অটোরিকশা থেকে গলার চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নিচ্ছিলেন। এসময় ভুক্তভোগী রোখসানা আক্তার অটোরিকশা চালককে লাথি মেরে গাড়ি থেকে ফেলে দেন। এসময় গাড়ি থেকে চালকসহ দুইজন পালিয়ে যায়। পরে ওই নারী ডাকাতকে দেখে চিৎকার করেন রোখসানা আক্তার। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে ডাকাতকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
সোমবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌর কাচারী মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
রোখসানা বেগম (২৭) নান্দালে উপজেলার ঘোষপালা গ্রামের বাসিন্দা। আটক সাজেদা খাতুন জেলার ফুলপুর উপজেলার মোকামিয়া গ্রামের মৃত আহমেদ আলীর মেয়ে।
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোখসানা রোববার (২১ মে) নান্দাইল শহর থেকে মেয়ের জন্য বই কিনে আনেন। সেই বই বিনিময় করতে সোমবার নান্দালে আসেন তিনি। সাজেদা খাতুন কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে রোখসানার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে রোখসানাকে কাছারি মসজিদের সামনে এনে একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ছামিলা আক্তার নামে এক ব্যক্তিকে সেখান থেকে একটি অটোরিকশায় করে সড়কে নিয়ে যান।
এসময় এক ব্যক্তি অটোরিকশার পাশে এসে পর্দা টেনে নামিয়ে দেয়। পরে ডাকাতরা গাড়িতে ঢুকলে চালক অটোরিকশা চালাতে থাকে। কিছুদূর যাওয়ার পর সামনে থেকে চালক সাজেদা ও তার সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তি রোখসানা ও সামিলার গলার চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় রোখসানা চালককে লাথি মেরে গাড়ি থেকে ফেলে দেয়। গাড়ি থেকে চালক ও সঙ্গে থাকা ব্যক্তি পালিয়ে যায়।
এসময় চালককে লাথি মারার পর রোখসানা ডাকাত সাজেদাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে। পরে স্থানীয়রা এসে ওই নারী ডাকাতকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ওসি রাশেদুজ্জামান জানান, আটক সাজেদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।