এটা আর পাঁচটা মেয়ের গল্পের মতো নয়। এটি একটি ভিন্ন ধরনের প্রেমের গল্প। একটি অনলাইন ডেটিং অ্যাপে দেখা করুন এবং তারপর থেকে ধীরে ধীরে প্রেম গড়ে উঠেছে। সেই ভালোবাসায় গত রোববার (২৩ মে) কলকাতায় মৌসুমী দত্তের কাছে ছুটে যান পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার মৌমিতা মজুমদার।
তবে দুই নারীর প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবারের সদস্যরা। তবুও প্রেম থেমে থাকেনি। মন্দিরে মালামাল আদান-প্রদান করে তাদের বিয়ে হয়।
মৌসুমী জানান, দুই মাস আগে একটি ডেটিং অ্যাপে তাদের দেখা হয়। তখন থেকেই আড্ডা শুরু। ধীরে ধীরে দুজনেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তারা একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন। মৌসুমীর কথায়, মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনি মৌমিতাকে ছাড়া আমি বাঁচব না।
প্রেমিক দম্পতি পরিবারের সদস্যদের কাছে তাদের ভালবাসা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু উভয় পক্ষ থেকে স্পষ্ট উত্তর হল আপনি উভয়ই নারী। আমরা কেউ এই সম্পর্ক মেনে নেব না।
অবশেষে পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন মৌসুমী ও মৌমিতা। সেই মোতাবেক তারা মন্দিরে গিয়ে সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করেন।
মৌমিতা বলেন, আমরা জানি সমাজ আমাদের গ্রহণ করে না। কিন্তু আমি তার সাথে থাকতে চাই। আমি বেঁচে থাকলে তার সাথে বাঁচব, আমি মরলে তার সাথে মরব। প্রশাসন যদি আমাদের মারতে চায় তাহলে দুজনকেই একসাথে মারতে হবে। এবং আপনি যদি তাদের বাঁচিয়ে রাখতে চান তবে আপনাকে তাদের একসাথে বাঁচাতে হবে।
মৌসুমী দত্ত বলেন, বড় কোনো বাধা এলে দুজনে হাতে হাত মিলিয়ে লড়ব।
মৌসুমী-মৌমিতার বিয়ে নিয়ে বর্তমানে পুরো শহরে আলোচনা চলছে। যদিও এই বিয়ে উভয় পরিবারের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল, কলকাতা ঠিকই অন্য ধরনের প্রেমের আপাত সাফল্যের সাক্ষী ছিল।
পরিবারের কেউ মেনে না নেওয়া তারা বর্তমানে অনেক প্রতিকূলতার মাঝে সমস্যায় জরাজীর্ন জীবন যাপন করছে।