সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের অঙ্গীকার ও অবস্থানে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি তার জন্য সহায়ক হতে পারে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর গণমাধ্যমে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বার্তা দেন।
মোমেন বলেন, উস্কানিমূলক আন্দোলনের মাধ্যমে কেউ যাতে সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকার ও অবস্থান বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেজন্য মার্কিন সরকারের ভিসা নীতি আমাদের জন্য সহায়ক হতে পারে।
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার বলেছেন, “বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে সমর্থন করার জন্য অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২(এ)(৩)(সি)(৩সি) এর অধীনে আমি আজ নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি ।” এই নীতির অধীনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে বিবেচিত যেকোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির উপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।
বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকার সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের এই নতুন নীতির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পরে বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজগুলির মধ্যে রয়েছে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, জনগণের মেলামেশার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে সহিংসতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ বাধা দেওয়া এবং রাজনৈতিক ভয় দেখানোর বিভিন্ন পদক্ষেপ রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা মিডিয়াকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।
ব্লিঙ্কেন বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমসহ সকলের দায়িত্ব। যারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চান তাদের সকলের প্রতি আমাদের সমর্থন বাড়ানোর জন্য আমি এই নীতি ঘোষণা করছি।