বলিউডে এক দশক পূর্ণ করেছেন সানি লিওন। এমনকি বলিউডের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিরাও সানিকে গ্রহণ করেননি যিনি একজন অভিনেত্রী হিসাবে নীলের জগতে দোলা দিয়েছিলেন। চলচ্চিত্রের গ্ল্যামার বাড়ানোই তার কাজ বলে মনে করেন অনেকে। এটা সানির অজানা নয়।
পর্নের জগত ছেড়ে মূলধারার ছবিতে প্রবেশ করা সহজ ছিল না। কিন্তু সানি লিওন ওরফে করণজিৎ কৌর একজন সোজা পথের পথিক। সানি অভিনীত ‘কেনেডি’ ৭৬ তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে নিয়েছে। এটি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র উৎসব।
অনুরাগ কাশ্যপের ছবির অংশ হতে পেরে উচ্ছ্বসিত সানি। এই ছবিতে তাকে ‘কখনও আগে দেখিনি’ চরিত্রে দেখা গেছে। তার চরিত্রের নাম চার্লি।
‘কেনেডি’ এই বছরের কান চলচ্চিত্র উৎসবের মিডনাইট স্ক্রিনিং বিভাগে প্রদর্শিত হয়েছিল।
ছবির প্রিমিয়ারে, সানি একটি শ্যাম্পেন-রঙের উরু-উচ্চ স্লিট পোশাকে শোটি চুরি করেছিলেন, যখন পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপকে একটি কালো ব্যান্ড-নেক স্যুটে দেখা গিয়েছিল। হাউসফুল কানে ‘কেনেডি’। এটা পুরো দলের একটা বড় কৃতিত্ব।
ফোর্বস ইন্ডিয়ার সাথে একান্ত কথোপকথনে, সানি বলেছিলেন যে গত কয়েক বছরে মূলধারার চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করা তার জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। অনেক সমালোচনা ও কটূক্তি শুনেছেন- রইসের ‘লায়লা’ও তাই বলে।
সানি বলেন, ‘আমি অ্যাকশনে বিশ্বাসী। অনেকে বলেছেন, আপনি এটা করতে পারবেন না, আপনি এটার যোগ্য নন। পাশাপাশি বলছেন, আপনি সানি লিওন, একজন প/র্ন তারকা। আপনি শুধুমাত্র ইমেজ গ্ল্যামার যোগ করতে পারেন. বছরের পর বছর ধরে এসব কথা শুনছি। কিন্তু এখন মানুষ আর বলতে পারে না। কেউ বলতে পারবে না যে আমি আমার অতীতের কারণে এই ছবিতে কাজ পেয়েছি বা আমি এই ছবিতে গ্ল্যামার যোগ করেছি।
যদিও সানি বুঝতে পেরেছেন সব সমালোচনা হজম করে এগিয়ে যাওয়ার নামই জীবন। কিন্তু নায়িকার কথায়, ‘এই কথাগুলো আমাকে আঘাত করে, আমাকে প্রভাবিত করে কিন্তু একজন এন্টারটেইনার হিসেবে আমি সেই আবেগকে বের করে আনতে পারি না।
নিদ্রাহীনতায় ভুগছেন এমন একজন প্রাক্তন পুলিশ অফিসারের গল্প বলে এই ছবিটি। বিশ্বের চোখে তিনি অনেক আগেই মারা গেলেও দুর্নীতিবাজ সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে গোপনে লড়াই করে যাচ্ছেন। সানি ছাড়াও ছবিতে দেখা গেছে রাহুল ভাটকে।
বিগ বসের মঞ্চে ভারতীয় জনতার সামনে সানির অভিষেক। অনুষ্ঠানটি নায়িকাকে জনসাধারণের সাথে সেতুবন্ধনে সফল হয়েছিল। পরে ‘জিসম 2’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু করেন সানি।