চাকরির বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় ইডেন কলেজের ছাত্রী মুক্তা সুলতানা ফেসবুকে লাইভে তার সব একাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেন। বর্তমানে এ শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট সরকারি-বেসরকারি কোনো চাকরিতে কাজে লাগছে না দাবি করে পুড়িয়ে দেন তিনি।
মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক লাইভে ইডেন কলেজের সামনে সার্টিফিকেটে আগুন ধরিয়ে দেন মুক্তা। সেশন জ্যাম এবং বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের কারণে চাকরির আবেদনের মেয়াদ শেষ। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে সার্টিফিকেট পুড়িয়ে দেন মুক্তা।
লাইভ ভিডিওতে তাকে তার মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলতে দেখা যায়। এর আগে তিনি দেখিয়েছিলেন যে তার স্নাতক পরীক্ষা ২০১৩ সালে এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষা ২০১৫ সালে হয়েছিল। যদিও তার পরীক্ষা ২০১৫ সালে হয়েছিল, তার সার্টিফিকেট ২০১৯ সালে ইস্যু হয়। ২০১৫ সালে পরীক্ষা দেওয়া সত্ত্বেও, ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৪ বছর তিনি কোথাও আবেদন করতে পারেননি।
এদিকে চাকরির বয়সসীমা অনুযায়ী আবেদনের চার বছর তিনি কাজে লাগাতে পারেননি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে মুক্তা বলেন, সরকারি চাকরিতে আবেদন করা যাবে না, বেসরকারি চাকরিতেও আবেদন করা যাবে না এমন সার্টিফিকেট রেখে লাভ কী? পোকামাকড়ে খাওয়ার চেয়ে ছাই বানানো অনেক ভালো।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের কোথাও এমন বয়সসীমা নেই। এটা শুধু বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে। ২৭ বছর পড়াশোনা করেও যদি আবেদন করতে না পারি, তাহলে পড়াশোনা করে লাভ কী?
এর আগে মুক্তা সরকারি চাকরির আবেদনের বয়সসীমা ৩০-৩৫ করার জন্য আন্দোলন করে আসছিলেন।