সেনানিবাস ঘিরে নাশকতার পরিকল্পনায় বরখাস্ত সৈনিকসহ গ্রেপ্তার ৩ জন

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (Bangladesh Army)–র বরখাস্ত সৈনিক নাইমুল ইসলাম ও তাঁর দুই সহযোগীকে সেনানিবাসে নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শনিবার আইএসপিআর (ISPR) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

পরিকল্পিত নাশকতা ও প্রচারণা

আইএসপিআরের তথ্য অনুযায়ী, বরখাস্ত সৈনিক নাইমুল ইসলাম গত ৫ আগস্টের পর থেকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত কয়েকজন সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করে আসছিলেন। একই ধারায়, তিনি আগামীকাল (১৮ মে) ঢাকা সেনানিবাস (Dhaka Cantonment) এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের নামে বড় ধরনের নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিলেন।

গ্রেপ্তারের সময় হামলার ঘটনা

শনিবার দুপুর ২টার দিকে খিলক্ষেতের বটতলা বাজার এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধিদল নাইমুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ও তাঁর সহযোগীরা উপস্থিত এক সেনাসদস্যের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। আশপাশের সেনাক্যাম্প থেকে আসা একটি টহলদল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাইমুলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

সেনানিবাস এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা

আইএসপিআর বিকেলে এক পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঢাকা সেনানিবাস ঘিরে বেশ কয়েকটি এলাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নিষিদ্ধ ঘোষিত এলাকার মধ্যে রয়েছে—কচুক্ষেত সড়ক, বিজয় সরণি থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় হয়ে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ জাহাঙ্গীর গেটসংলগ্ন এলাকা, বিএএফ শাহীন কলেজ (BAF Shaheen College) থেকে মহাখালী ফ্লাইওভার–সংলগ্ন অঞ্চল, সৈনিক ক্লাব মোড়, ভাষানটেক, মাটিকাটা, ইসিবি চত্বর ও আশপাশের এলাকা।

আইএসপিআরের ভাষ্য অনুযায়ী, “সর্বসাধারণের চলাচল ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে” এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।