সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম (Mumtaz Begum)-কে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা (Mirpur Model Police Station) এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মো. সাগরকে গুলি করে হত্যার মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (১৭ মে) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান (Minhajur Rahman) তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।
শুনানিতে বিতর্কিত প্রশ্ন
শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী (Omar Faruk Faruki) মমতাজ বেগমের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “বলুন তো, আপনার স্বামী কয়জন? নাম কী?”
বিচারক তখন পিপিকে থামিয়ে মামলার বিষয়ে বক্তব্য দিতে বলেন।
রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ
এদিন মমতাজ বেগমকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
তার পক্ষে আইনজীবী মাসুদুর রহমান লিংকন (Masudur Rahman Linkon) বলেন, “তিনি কোনোভাবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই এবং তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ।”
রাষ্ট্রপক্ষের কঠোর ভাষা
পিপি ওমর ফারুক বলেন, “মমতাজ বেগম সাধারণ রাস্তায় গান গেয়ে সংসদে পৌঁছেছেন। তিনি সংসদে গানের জলসা বসাতেন এবং বিরোধীদের অসম্মান করতেন।”
তিনি আরও বলেন, “সংসদে দাঁড়িয়ে জিয়াউর রহমান (Ziaur Rahman) ও খালেদা জিয়া (Khaleda Zia)–র পরিবারের নাম নিয়ে কটূক্তি করেছেন।”
বিচারক সবকিছু শুনে তার জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতার প্রেক্ষাপট
গত ১২ মে রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি (Dhanmondi) এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ১৩ মে আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।