স্থলবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি বন্ধ করল ভারত

স্থলবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকসহ একাধিক ভোগ্যপণ্য আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত (India)। এখন থেকে শুধু কলকাতা (Kolkata) ও নভসেবা সমুদ্রবন্দর (Nava Sheva Port) দিয়ে পোশাক আমদানি করা যাবে।

শনিবার (১৮ মে) ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় (Ministry of Commerce and Industry of India) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

রপ্তানিতে নতুন নিষেধাজ্ঞা

নির্দেশনায় বলা হয়, ‘জেনারেল নোটস রিগার্ডিং ইমপোর্ট পলিসি’র অধীনে নতুন একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে যা ‘আইটিসি (এইচএস) ২০২২’-এর আমদানি নীতির অংশ। এর ফলে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলো যেমন আসাম (Assam), মেঘালয় (Meghalaya), মিজোরাম (Mizoram), ত্রিপুরা (Tripura) ও পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)–এর স্থলবন্দর দিয়ে আর এসব পণ্য ঢুকতে পারবে না।

নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় রয়েছে:
– বিভিন্ন ধরনের পানীয়
– চিপস, কনফেকশনারি, বেকারি ও স্ন্যাকস জাতীয় প্রক্রিয়াজাত খাবার
– সুতা ও সুতার বর্জ্য
– প্লাস্টিক ও পিভিসি পণ্য (পিগমেন্ট, ডাইস, প্লাস্টিকাইজার ও গ্রানিউল ব্যতীত)
– কাঠের আসবাবপত্র

বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর চাপ

বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতসহ অন্যান্য শিল্প খাতে উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করবে। ভারতীয় সিদ্ধান্তটি এমন এক সময়ে এলো, যখন দুই দেশের মধ্যে আগে থেকেই কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক টানাপোড়েন চলছিল।

প্রসঙ্গত, প্রায় এক মাস আগে বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) (National Board of Revenue) বেনাপোল (Benapole), ভোমরা (Bhomra), সোনামসজিদ (Sonamasjid), বাংলাবান্ধা (Banglabandha) ও বুড়িমারী (Burimari) স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয়।

ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধাও বাতিল

এর পাশাপাশি গত ৯ এপ্রিল ভারত বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় কোনো দেশে রপ্তানি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে। এখন নতুন করে সীমান্তবর্তী একাধিক স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি ভোগ্যপণ্যের প্রবেশও বন্ধ করা হলো।

তবে, মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল এবং পাথরের মতো কিছু নির্দিষ্ট পণ্য আমদানির অনুমতি এখনও বহাল রেখেছে ভারত।

উত্তর-পূর্ব ভারতের ১১টি স্থলবন্দর

টাইমস অব ইন্ডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, উত্তর-পূর্ব ভারতের ১১টি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্যবাণিজ্য হয়। এর মধ্যে আসামে তিনটি, মেঘালয়ে দুটি এবং ত্রিপুরায় ছয়টি স্থলবন্দর রয়েছে।