থাইল্যান্ড পালানোর চেষ্টাকালে শাহজালাল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া

নুসরাত ফারিয়া (Nusrat Faria), যিনি ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, তাঁকে আজ রবিবার থাইল্যান্ড পালানোর চেষ্টাকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Hazrat Shahjalal International Airport) থেকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরবর্তীতে তাঁকে রাজধানীর ভাটারা থানা (Vatara Police Station) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মামলার পটভূমি

পুলিশ সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের হয়। এই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। আজ দুপুরে থাইল্যান্ডগামী ফ্লাইটে ওঠার পূর্ব মুহূর্তে তাকে আটক করা হয় এবং সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশের বক্তব্য

ডিএমপি (DMP)’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাসরিন সুলতানা (Nasrin Sultana) বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “তার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়কার মামলা রয়েছে। সেই মামলায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে।”

ডিএমপির অপর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম (S N Md. Nazrul Islam) জানান, “যেহেতু তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, সে কারণে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটকে দিয়েছে।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা

নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়। অনেকে মন্তব্য করেন, সিনেমায় শেখ হাসিনার ভূমিকায় অভিনয় করা অভিনেত্রী বাস্তবেও দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন, যা ‘পর্দা ও বাস্তবতার অদ্ভুত মিল’ বলেও অনেকে উল্লেখ করেন।

পেছনের প্রেক্ষাপট

২০২৩ সালের ১৩ অক্টোবর মুক্তি পাওয়া ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ (Mujib: Ekti Jatir Rupkar) চলচ্চিত্রে শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ (Arifin Shuvoo)। শেখ হাসিনা চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া এবং ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চরিত্রে অভিনয় করেন নুসরাত ইমরোজ তিশা (Nusrat Imrose Tisha)।

২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এরপর ধাপে ধাপে আওয়ামী লীগের (Awami League) শীর্ষ নেতারাও দেশ ত্যাগ করেন।