আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর রাজনীতি নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এই নোটিশে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) (Jatiya Party – Ershad) সহ ১৪ দলের শরিক সব দলকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে।
নোটিশের প্রেরক ও দাবির ভিত্তি
লক্ষ্মীপুর (Lakshmipur) জেলার বাসিন্দা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) (National Citizens Party – NCP) কর্মী পরিচয়দানকারী হোসাইন মো. আনোয়ারের পক্ষে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগান রবিবার এই নোটিশ পাঠান। নোটিশটি পাঠানো হয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আইন সচিব ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বরাবর।
হোসাইন মো. আনোয়ার অভিযোগ করে বলেন, “আওয়ামী লীগ একা দমন-পীড়ন চালায়নি, বরং ১৪ দলীয় জোটের সম্মিলিত সিদ্ধান্তেই তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেবল আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, বাকি শরিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
কোন দলগুলো রয়েছে তালিকায়?
নোটিশে যেসব দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি করা হয়েছে, সেগুলো হলো:
– জাতীয় পার্টি (এরশাদ) (Jatiya Party – Ershad)
– বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি (Workers Party)
– গণতন্ত্রী পার্টি (Gonotantri Party)
– গণ আজাদী লীগ (Gana Azadi League)
– বাসদ (রেজাউর) (BASAD – Rezaur)
– বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (দিলীপ বড়ুয়া) (Communist Party – Dilip Barua)
– ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি – ন্যাপ (মোজাফফর) (NAP – Mozaffar)
– গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি (Democratic Workers Party)
– জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জাসদ (ইনু) (JASAD – Inu)
– শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল (SKSD)
– তরিকত ফেডারেশন (Tarikat Federation)
– কমিউনিস্ট কেন্দ্র (Communist Centre)
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, তাহলে শরিকরা কেন নয়?
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, “৭৫ বছরের পুরনো দল আওয়ামী লীগ ৩৬ দিনের আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা হারিয়ে বর্তমানে নিষিদ্ধ। তাহলে যারা সেই আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসনের সহযোগী ছিল, তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে না কেন?”
সেই যুক্তিতেই নির্বাচন কমিশন ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় হাইকোর্টে রিট দায়েরের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।