স্টারলিংকের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সুযোগ নেই: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

স্টারলিংক (Starlink) প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিঘ্নিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব (Fayez Ahmad Tayyab)। মঙ্গলবার (২০ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি (Foreign Service Academy) মিলনায়তনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান।

“লোকাল গেটওয়ে থাকবে, তাই নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই”

তিনি বলেন, স্টারলিংক কোম্পানিকে ৯০ দিনের মধ্যে কমার্শিয়াল ও গ্রাউন্ড টেস্ট সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে ১০ দিন অতিক্রম হয়েছে। এই মেয়াদ শেষ হলে লোকাল গেটওয়ে ব্যবহার বাধ্যতামূলক হবে, ফলে তথ্যপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এর ফলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

উদ্যোক্তা বান্ধব ইন্টারনেট ব্যবসার সম্ভাবনা

স্টারলিংকের উদ্যোক্তা বান্ধব দিক ব্যাখ্যা করে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, একটি সেটআপ বক্স কিনে গ্রামীণ অঞ্চলে ইন্টারনেট বিক্রি করা যাবে। একজন উদ্যোক্তা ৪৭ হাজার টাকা তহবিল গঠন করে সেটআপ বক্স কিনতে পারবেন এবং ২০ থেকে ৫০ মিটার ওয়াইফাই রেঞ্জের মধ্যে আশেপাশের দোকানে ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবেন। আইনগতভাবে এতে কোনো বাধা রাখা হয়নি, ফলে এটি একটি কার্যকর এসএমই বা ব্যবসা মডেল হতে পারে।

অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সহজ পেমেন্ট ব্যবস্থা

তিনি বলেন, আমরা মাইক্রোক্রেডিট অথরিটি ও অন্যান্য ফাইন্যান্সিয়াল অর্গানাইজেশনগুলোর সাথে কাজ করছি যেন স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবার জন্য উদ্যোক্তারা সহজে অর্থসংস্থান করতে পারেন। গ্রামীণ নারীদের জন্য ‘WiFi Lady’ মডেল চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ও চীন-মার্কিন প্রসঙ্গ

চীন-মার্কিন প্রযুক্তিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি নিরপেক্ষ ও উন্মুক্ত বাজার ব্যবস্থা বজায় রাখতে চায়। বর্তমানে দেশের অনেক মোবাইল কোম্পানি ও সংস্থায় চীন (China)ার প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। একইভাবে যুক্তরাষ্ট্র (United States)সহ অন্যান্য দেশের কোম্পানিও বাংলাদেশে ব্যবসা করতে পারবে। উদাহরণস্বরূপ, Amazon Kuiper, Telesat, SatteloitOneWeb (UK) আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং তাদেরকেও একই নীতিগত সুবিধা দেওয়া হবে।

দাম বেশি হলেও যৌক্তিক ও শেয়ারযোগ্য

স্টারলিংকের প্রাথমিক দাম কিছুটা বেশি হলেও এটি শেয়ার করা যাবে বলে জানান ফয়েজ আহমদ। তিনি বলেন, একাধিক অ্যাপার্টমেন্ট বা বাসভবনের বাসিন্দারা যৌথভাবে এই সেবা নিতে পারবেন। রিজিওনাল প্রাইস বিবেচনায় বাংলাদেশের মূল্য সবচেয়ে কম, এমনকি শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড থেকেও কম রাখা হয়েছে।