‘প্রেগন্যান্ট শুনেই তালাক দেন তালহা, সন্তানের স্বীকৃতিও দেননি’—অভিযোগ হ্যাপির

মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি (Naznin Akter Happy) ফের আলোচনায়। এবার তিনি তাঁর স্বামী তালহা ইসলাম (Talha Islam)–এর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। ইসলামী অনুশাসনে জীবনযাপন শুরু করার পর অনেকটা নীরব থাকলেও এবার নিজের সন্তান ও দাম্পত্য জীবন নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন তিনি।

“প্রেগন্যান্ট শুনেই তালাক দিয়ে দেন, সন্তানের স্বীকৃতি দেননি”

হ্যাপি বলেন, “এই বাচ্চাটার নাম আরোয়া। বাবা হিসেবে জনাব তালহা স্বীকৃতি দেননি। প্রেগন্যান্ট শুনেই তালাক দিয়ে দেন। কেউ জিজ্ঞেস করলে সন্তানের কথা বলতে তিনি শুধু উসমানের নাম বলেন। আমার মেয়ের কথা কখনো বলেন না। এমনকি প্রায়ই বলতেন, ‘এই বাচ্চাটা মনে হয় আমার না, ডিএনএ করে দেখব নাকি।’”

“স্ত্রী হিসেবে রাখার অনুরোধ করলেও রেগে যেতেন”

তিনি জানান, “আমি অনেকবার বলেছি, বাচ্চাটার জন্য হলেও আমাকে স্ত্রী হিসেবে রাখো। তার মা–ও তাই চেয়েছিলেন। কিন্তু তালহা বলতেন, ‘দেখতে তো হয়েছে ওর মার মতো, ভালো লাগে না।’ এবং আমার কথায় রেগে যেতেন। আজ আমি সবাইকে দেখিয়ে দিলাম—এই মেয়েটি তালহার কন্যা। আমি একা স্ট্রাগল করে বাচ্চাটাকে বড় করছি।”

“দান-খয়রাতের মতো মাসিক টাকা দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে”

হ্যাপি অভিযোগ করেন, “মাসে মাসে দান-খয়রাতের মতো একটা অ্যামাউন্ট দিলেই দায়িত্ব শেষ বলে মনে করেন। অথচ সে এই বাচ্চাটিকে জীবনে ৩-৪ বারও দেখতে আসেনি। এখন মানুষকে দেখানোর জন্য ‘বাচ্চা বাচ্চা’ বলে আবেগ দেখান। বাস্তবে কোনো দায়িত্ব নেই।”

“আমার উপার্জনে চলেছে, আর শেষে লুটপাট করে চলে গেছে”

তিনি আরও বলেন, “বছর ধরে আমার উপার্জনে আরাম করে চলেছে। আমার টাকায় পেট পুরে খেয়েছে। এখন সেই রিজিকের মালামাল ট্রাকে ভরে নিয়ে গেছে। আমার দুটি মোবাইল ফোন জিম্মি করে রেখে দিয়েছে। আইনজীবীকে কল দিয়ে বলছে, মালামাল নাকি তার টাকায় কেনা। এতদিন খাওয়াদাওয়া করেও একটুও লজ্জা নেই তার।”

হ্যাপির এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই তাকে সমর্থন জানিয়ে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছেন।