ভারতের রাজধানী দিল্লি (New Delhi)তে চলতি মাসেই হতে পারে বহুল প্রতীক্ষিত মা-ছেলের পুনর্মিলন। দীর্ঘদিন পর পলাতক শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় (Sajeeb Wazed Joy)–এর সম্ভাব্য সাক্ষাৎ ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে ভারতের কূটনৈতিক অঙ্গন।
দেশত্যাগ ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তন
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, গত আগস্টে গণআন্দোলনের মুখে দেশ ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা, এবং বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ (Awami League) নিষিদ্ধ ঘোষণার পর এই সাক্ষাৎকে ঘিরে রাজনীতিতে নতুন মোড়ের ইঙ্গিত দেখছেন বিশ্লেষকরা।
জয়ের দিল্লি সফর ও সম্ভাব্য বৈঠক
সূত্র জানায়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই জয়ের ভিসা অনুমোদন করেছে। দিল্লিতে মায়ের সঙ্গে দেখা করেই তিনি কলকাতায় যেতে পারেন, যেখানে তিনি প্রবাসী নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদিও সজীব ওয়াজেদ জয় দলটির কোনো আনুষ্ঠানিক পদে নেই, তবে দেশের সংকটপূর্ণ প্রেক্ষাপটে তার এই সফর গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তা বহন করতে পারে।
অনলাইন নিষিদ্ধ, নেতৃত্বহীন আওয়ামী লীগ
বর্তমানে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ-এর অনলাইন কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় জয় ভারত সফরে গিয়ে কৌশলগত আলোচনা করলে তা নিষিদ্ধ দলের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ও জনরোষ
শেখ হাসিনা-র বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শাসনের অভিযোগ উঠেছে। গণমাধ্যম বলছে, রাতের ভোট, ডিজিটাল ভোট জালিয়াতি ও রাজনৈতিক দমন-পীড়নের কারণে মন্ত্রিসভাসহ দেশত্যাগ একটি বিরল উদাহরণ হয়ে উঠেছে।
শুধু পারিবারিক নয়, রাজনৈতিক পুনর্মিলনের ইঙ্গিত
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দিল্লিতে মা-ছেলের এই সাক্ষাৎ কেবল পারিবারিক পুনর্মিলন নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি বড় পরিবর্তনের সূচনা হতে পারে।