দুদকে জিজ্ঞাসাবাদে উপদেষ্টার সাবেক পিও তুহিন, ডা. মাহমুদুল ও এনসিপির সালাউদ্দিন তানভীর

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) (Anti-Corruption Commission – ACC) স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম (Nurjahan Begum) এর সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) তুহিন ফারাবি (Tuhin Farabi) এবং ডা. মাহমুদুল হাসান (Dr. Mahmudul Hasan)-কে আজ (২১ মে) জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। একইসঙ্গে হাজির হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) (National Citizens’ Party – NCP)-এর সাময়িক অব্যাহতি পাওয়া যুগ্ম সদস্য সচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীর (Gazi Salauddin Tanvir)।

দুর্নীতির অভিযোগে তলব ও জিজ্ঞাসাবাদ

তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও টেন্ডার বাণিজ্যের মাধ্যমে নামে-বেনামে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে গত ১৫ মে দুদক থেকে পৃথক চিঠিতে তলব করা হয়।

  • তুহিন ফারাবি ও ডা. মাহমুদুল হাসানকে ২০ মে,
  • গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে ২১ মে এবং
  • যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন (Moazzem Hossain)-কে ২২ মে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

অনুসন্ধান দাবিতে যুব অধিকার পরিষদের কর্মসূচি

উল্লেখযোগ্যভাবে, গত ২৭ এপ্রিল যুব অধিকার পরিষদ (Youth Rights Council) ‘মার্চ টু দুদক’ কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় প্রেস ক্লাব (National Press Club)-এর সামনে থেকে র‌্যালি করে দুদকে গিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দেয়। তারা উপদেষ্টাদের পিও ও এপিএসদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান দাবি করে।

আইনি সহায়তা ও নজরদারি

চলমান প্রক্রিয়ায় হাইকোর্টের দুই আইনজীবী—অ্যাডভোকেট নাদিম মাহমুদ (Advocate Nadim Mahmud) ও অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম (Advocate Muhammad Shafiqul Islam)-এর পক্ষ থেকেও দুদকে নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

তদন্ত চলমান

তুহিন, মাহমুদুল ও তানভীর বর্তমানে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদে রয়েছেন এবং তদন্ত চলমান রয়েছে। এই প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসতে পারে উপদেষ্টাপরিষদের পিও ও এপিএসদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির স্পষ্ট চিত্র।