বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (Bangladesh-Jamaat-e-Islami) -এর সাবেক আমির গোলাম আজমের ছেলে ও সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমান আযমী (Aman-Azmi) সম্প্রতি তার ফেসবুক টাইমলাইনে “প্রসঙ্গ: আমাদের জাতীয়তা” শিরোনামে দেওয়া একটি পোস্টে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, “যারা নিজেদের জাতীয়তা অস্বীকার করে অন্য দেশের জাতির সঙ্গে মিশে যেতে চান, তাদের বাংলাদেশে থাকার অধিকার নেই।”
ভাষা নয়, ভৌগোলিক সীমারেখাই জাতীয়তার নির্ধারক
আযমী তার পোস্টে বলেন, “ভাষা কখনও জাতীয়তা নির্ধারণ করতে পারে না।” উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—আমেরিকা (America), কানাডা (Canada), ব্রিটেন (Britain), অস্ট্রেলিয়া (Australia) এবং নিউজিল্যান্ড (New-Zealand)—যেখানে সবাই ইংরেজি ভাষায় কথা বললেও তাদের জাতীয়তা আলাদা। একইভাবে, আরবভাষী দেশগুলোরও জাতীয় পরিচয় আলাদা।
তিনি বলেন, ভারত (India) বহু ভাষাভাষী জনগণ নিয়ে গঠিত হলেও সবাই ভারতীয় পরিচয়ে পরিচিত। তার ব্যাখ্যায়, জাতীয়তা নির্ধারণ হয় ভূখণ্ডভিত্তিক, ভাষাভিত্তিক নয়। সেই প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, “পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা ভারতীয়, আর বাংলাদেশের বাঙালিরা বাংলাদেশি। আমরা ‘বাঙালি জাতি’ নই, আমরা ‘বাংলাদেশি’।”
‘বাঙালি পরিচয়’ অস্বীকারের পক্ষে যুক্তি
আমান আযমী অভিযোগ করেন, দেশের একটি অংশ নিজেদেরকে ‘বাঙালি’ পরিচয়ে তুলে ধরেন, যা তার মতে অগ্রহণযোগ্য। তার ভাষ্য, “যারা নিজেদের ‘বাঙালি জাতি’ বলে পরিচয় দেন, তারা মূলত পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের সঙ্গে নিজেদের আত্মিক ও জাতীয় সংযোগ স্থাপন করতে চান।”
জাতীয়তা অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান
তিনি বলেন, “এমন মানসিকতা যাদের, তারা জনগণের ভয়ে বাংলাদেশে টিকতে না পেরে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।” আযমীর মতে, “যারা নিজেদের জাতীয়তা অস্বীকার করে অন্য দেশের জাতির সঙ্গে মিশে যেতে চান, তাদের বাংলাদেশে থাকার কোনো অধিকার নেই।”