‘তাপসের টাকা খেয়ে ইসিতে বিক্ষোভ করছে একটি দল’—অভিযোগ ইশরাক হোসেনের

বিএনপি (BNP) নেতা ইশরাক হোসেন (Ishraq Hossain) অভিযোগ করেছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস (Sheikh Fazle Noor Taposh) এর পক্ষে একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশন (ইসি) (Election Commission) অভিমুখে বিক্ষোভ করছে।

বুধবার (২১ মে) দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।

“শপথ অনুষ্ঠানে বাধা দিতে ইসিতে চাপ দিচ্ছে তাপসপন্থিরা”

ইশরাক লিখেন, “গেজেট প্রকাশের পর শপথ অনুষ্ঠান না করে, ফ্যাসিবাদের অন্যতম প্রতিনিধি অপসারিত মেয়র তাপসের পক্ষে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার চাপ প্রয়োগ করা হয়। এটি দেখে আইনজীবীরা পর্যন্ত বিস্মিত হন।”

তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। আদালতের রায় বাস্তবায়নে ইসির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।”

“তাপসের টাকা খেয়ে বিক্ষোভ করছে একটি দল”

তিনি সরাসরি অভিযোগ করে বলেন, “তাপসের এই কাজ বাস্তবায়ন করতে না পারায়, এখন তাপসের টাকা খেয়ে নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ করছে একটি রাজনৈতিক দল। কেউ যদি এই অভিযোগ তোলে, তাহলে কি সেটা ভুল হবে?”

ইসির সামনে এনসিপির অবস্থান কর্মসূচি

একই দিন দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও (Agargaon) এলাকায় ইসি কার্যালয়ের সামনে প্রায় তিন শতাধিক জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) (National Citizen Party (NCP)) নেতাকর্মী বিক্ষোভ করেন। ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে এই কর্মসূচি হয়।

“আমার বাসায় শপথ পড়াতে এলে লাভ নেই”—ইশরাক

একটি পৃথক পোস্টে ইশরাক বলেন, “আমার বাসস্থানে এসে শপথ পড়ানোর প্রস্তাব দিলেও লাভ নাই।” তিনি দুইটি শর্তও উল্লেখ করেন—

  1. অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।
  2. আদালতের রায় যার পক্ষেই যাক, তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

চলমান বিক্ষোভ ও আদালতের নির্দেশনার প্রতীক্ষা

ইশরাকের সমর্থকরা ইতোমধ্যে টানা ছয়দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন। তারা বুধবার (২০ মে) সকাল ১০টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে জানিয়েছে, এর মধ্যে সিদ্ধান্ত না এলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এদিকে, ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। রিটের শুনানি শেষে আদেশের জন্য বুধবার (২১ মে) দিন নির্ধারণ করেছেন বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায়ের হাইকোর্ট বেঞ্চ।