জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizen Party) নেতা ও জাতীয় যুবশক্তি (Jatiyo Juboshokti) আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম (Advocate Tarikul Islam) বলেছেন, “আ্যাটর্নি জেনারেল, পাবলিক প্রসিকিউটর এবং বিচারপতি নিয়োগে বিএনপি (BNP) একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।” বুধবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারিকুল বলেন, “৭ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগেই অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় মো. আসাদুজ্জামান (Md. Asaduzzaman)–কে, যিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এবং তারেক রহমান (Tarique Rahman)–এর ব্যক্তিগত উপদেষ্টা।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে নিয়োগ পাওয়া ৯৫ শতাংশ অতিরিক্ত, ডেপুটি এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বিএনপিপন্থী। ফলে সুপ্রিম কোর্টের সব কার্যক্রম এই অফিস থেকেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।”
বিচারপতি নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, “হাইকোর্টে প্রথম দফায় নিয়োগ পাওয়া ২৩ জন বিচারপতির পেছনে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রয়েছেন। এমনকি যাঁরা সরাসরি বিএনপি ঘরানার নন, তাঁরাও বিএনপির সম্মতিতে নিয়োগপ্রাপ্ত।”
পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রতিটি জেলার নিম্ন আদালতে যাঁরা পিপি, এডিশনাল ও অ্যাসিস্ট্যান্ট পিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই বিএনপিপন্থী। তারা মাঠ পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জামিন নিশ্চিত করতেও সক্রিয়।”
তারিকুল অভিযোগ করেন, বিচারক বদলিতেও আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিএনপি সক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ চালিয়ে এসেছে। “দায়রা জজ থেকে শুরু করে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায় পর্যন্ত নিয়োগ ও বদলির সবকিছুতেই বিএনপি প্রভাব বিস্তার করেছে,” বলেন তিনি।
সবশেষে তারিকুল ইসলাম বলেন, “এই বিচারবিভাগ আর স্বাধীন নয়। এটি বিএনপির হাতে চলে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে ‘জুলাই গণহত্যার’ বিচার আদৌ সম্ভব কি না, সেটিই এখন ছাত্র-জনতার প্রশ্ন।”