অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওন (Meher Afroz Shaon)সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ। আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) এই আদেশ দেন আদালত।
এ মামলার বাদী হলেন শাওনের সৎ মা নিশি ইসলাম, যিনি ১৩ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (Dhaka Metropolitan Magistrate Court) মামলাটি দায়ের করেন।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আসামির তালিকা
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন:
– সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ (Harun-or-Rashid)
– সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম (Nazmul Islam)
– শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী
– বোন মাহিন আফরোজ শিঞ্জন
– শিঞ্জনের স্বামী সাব্বির
– সেঁজুতি
– সুব্রত দাস
– মাইনুল হোসেন
– পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া
– উপ-পরিদর্শক শাহ আলম
– মোখলেছুর রহমান মিল্টন
এর মধ্যে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও শাহ আলম জামিনে থাকলেও বাকি ১০ জন পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে এর আগে ২২ এপ্রিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।
মামলার পটভূমি
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী নিশি ইসলাম ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ইঞ্জিনিয়ার মো. আলীর সঙ্গে শরিয়া মোতাবেক বিয়ে করেন। তবে মো. আলী তার পূর্বের স্ত্রী ও সন্তানদের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী সাব্বির বাদীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ের কথা গোপন রাখতে হুমকি দেন। ৪ মার্চ মো. আলী বাদীকে গুলশানের বাসায় ডাকেন এবং সেখানেও পূর্বের স্ত্রীকে দেখে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে।
এই সময় বাদীকে জোর করে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরদিন শাওন ও এডিসি নাজমুলসহ আরও কয়েকজন বাদীর বাসায় ঢুকে তাকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন। অস্বীকৃতি জানালে শাওন বাদীকে বেধড়ক মারধর করেন।
ডিবিতে ডেকে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ
২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবির (DB) অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানেও শাওনসহ অন্যান্য আসামিরা তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ সময় ডিবি প্রধান হারুন বাড্ডা থানার ওসিকে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নিতে বলেন। এরপরে বাদীকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয় এবং নির্যাতন করা হয়। এমনকি তাকে মাদক ব্যবসায়ী সাজানোর চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. পিন্টুর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১ জুলাই।