সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অধিকারকর্মী পিনাকী ভট্টাচার্য (Pinaki Bhattacharya) অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান (Waker-Uz-Zaman) ভারতের স্বার্থে বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতি ও অভিমুখকে প্রভাবিত করছেন।
পিনাকীর দাবি অনুযায়ী, জেনারেল ওয়াকার নিয়মিতভাবে ভারতের সেনাপ্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাদের নির্দেশনায় কাজ করেন। ভারতীয় মিডিয়াগুলোও তাকে ‘ভারতপন্থী’ সেনাপ্রধান বলে অভিহিত করছে।
ইউনূসের প্রতি সমর্থন এবং জনপ্রিয়তার কারণ
ড. মুহাম্মদ ইউনূস (Dr. Muhammad Yunus)–কে সমর্থন দিয়ে পিনাকী বলেন, “তিনি রাজনীতি না বুঝলেও তার জনপ্রিয়তা বিএনপির চেয়ে বেশি।”
এই জনপ্রিয়তার তিনটি কারণ তুলে ধরেন তিনি—
1. দুর্নীতিমুক্ত সরকার পরিচালনা
2. ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ (Awami League)–এর বিচার প্রক্রিয়া শুরু
3. ভারতের প্রভাব ও হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান
পিনাকী দাবি করেন, দেশবাসী এখন বোঝে কেন ইউনূসকে সমর্থন দিতে হবে এবং একইভাবে সশস্ত্র বাহিনীর অধিকাংশ সদস্যও তার পাশে রয়েছে।
সেনাবাহিনীর ভেতরের বিরোধ ও অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড
পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সেনানিবাসে সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে তিনটি বিষয় পরিষ্কার হয়—
1. ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে ওয়াকারসহ একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী চাপে রয়েছে
2. তারা সরকারের সংস্কার ও রোহিঙ্গা নীতি, এমনকি জুলাই ঘোষণাকেও বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে
3. জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে ভারতের হয়ে কাজ করছে এই গোষ্ঠী
বিএনপি, ভারত ও সেনাপ্রধানের ‘অশুভ আঁতাত’
সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো, সেনাপ্রধানের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি চক্র এখন ভারতের স্বার্থে কাজ করছে এবং তারা বিএনপিকেও এই চক্রে যুক্ত করতে পেরেছে বলে দাবি করেন পিনাকী।
পোস্টে বলা হয়, “ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একের পর এক ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং বিএনপি দেশজুড়ে অস্থিরতা তৈরির কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে—এ থেকে বোঝা যায়, উভয়ের মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতা হয়েছে।”
পিনাকীর মতে, প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এই চক্র অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের নামে বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে ফের ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার চক্রান্ত করছে।