২২ মে ছিল জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত তরুণ শহিদ গোলাম নাফিজ (Golam Nafiz)–এর জন্মদিন। এই দিনে তার আত্মত্যাগ স্মরণে কেউ কোনো উদ্যোগ নেয়নি—এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তার পিতা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
“তখন যদি ছেলেটারে পাইতাম…”
গোলাম নাফিজের পিতা বলেন, “ওই যে দেখেন, ছেলেটা রিকশার রডটা ধইরা রাখছিল। কত খুঁজলাম, তখন যদি ছেলেটারে পাইতাম, বাঁচানোর জন্য একটু চেষ্টা করতে পারতাম। ছেলের বুকের মধ্যে লাগা গুলি পিঠের দিক দিয়া বাইর হইয়া যায়। পরে তো শুনি আমার চাঁদের মতো ছেলেটা মর্গে আছে।”
তার কণ্ঠে ছিল বেদনার ভার, আর বুকভরা অতৃপ্তি।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার শ্রদ্ধা
তথ্য উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (Asif Mahmud Sajib Bhuiyan) ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে গোলাম নাফিজের স্মরণ করেন।
ছবিতে ছিল নাফিজের গুলিবিদ্ধ দেহ, ঝুলছে রিকশার পাদানিতে। তিনি লেখেন:
“জুলাই অভ্যুত্থানের এক দীপ্ত যোদ্ধা গোলাম নাফিজ। আজ তার জন্মদিন। তুমি নেই, কিন্তু তোমার স্বপ্ন বেঁচে আছে আমাদের ভেতর।”
“আজ কেউ তার কথা বলছে না”—পিনাকী ভট্টাচার্য
পিনাকী ভট্টাচার্য (Pinaki Bhattacharya) তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “আজ শহিদ গোলাম নাফিজের জন্মদিন। কোনো পত্রিকা তার কথা বলেনি, কোনো রাজনৈতিক দলের পাতায় নেই তার নাম, নেই এক লাইন শ্রদ্ধাও।”
তিনি আরও বলেন, “দলগুলো ব্যস্ত এখন ক্ষমতার হিস্যা নিতে। যে শহিদদের রক্তে এই দ্বিতীয় স্বাধীনতার পতাকা উড়েছে, তারা আজ অনাহূত। আমরা কি ভুলে গেছি কারা মুক্ত করেছিলো আমাদের?”
পিনাকী লিখেছেন, “যেসব সাহসী তরুণ গুলির মুখে দাঁড়িয়েছিলো—তাদের নেই কোনো পোস্টার, নেই কোনো স্মরণ, আছে শুধু বিস্মৃতির দেয়ালে ঠেকা নীরবতা।”
শহিদের প্রতি সম্মান, নাকি অবহেলা?
গোলাম নাফিজের আত্মত্যাগ এবং জন্মদিনের দিনে তাকে স্মরণ না করার এই ঘটনা আবারও প্রশ্ন তোলে—আমরা কি সত্যিই কৃতজ্ঞ?
এই নীরবতা কি ইতিহাসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা নয়?